চলতি মাসেই এসসিও-র বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। এই আবহে সেই বৈঠকে যোগ দিতে পড়শি দেশে যাবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এই আবহে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠক কি হবে? এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে জয়শংকর জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তান সরকারের কারও সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, 'এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা আছে। তবে আমি সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি সেখানে এসসিও-র একজন ভালো সদস্য হিসেবে যাচ্ছি। আমি খুবই ভদ্র একজন মানুষ। তাই সেখানে গিয়ে আমি ভদ্রতা দেখাব।' (আরও পড়ুন: 'প্রমাণ লোপাটে পুলিশের ভূমিকায় নজর...', আরজি কর কাণ্ডে আদালতে বিস্ফোরক CBI)
আরও পড়ুন: 'সব বাংলাদেশিরই ভারতের সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত', বয়কট ট্রেন্ডের মাঝে বার্তা BNP-র
এদিকে সার্কের বৈঠক কেন হচ্ছে না? এই নিয়ে জয়শংকর অকপটে বলেন, 'সার্কের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্তত একজন সদস্য অন্য এক সদস্য দেশের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে জড়িত আছে। এই কারণেই সার্কের বৈঠক হচ্ছে না। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্কের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে কাজ করাও কঠিন।'
এর আগে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, চলতি অক্টোবর মাসেই পাকিস্তানে 'সাংহাই কর্পোরেশ অর্গানাইজেশন সামিট' অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাবেন জয়শংকর। রণধীর বলেন, 'পাকিস্তানে আয়োজিত হতে চলা এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে যাবে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। সেই দলের নেতৃত্বে থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। আগামী ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।' (আরও পড়ুন: হরিয়ানা নির্বাচনের সময় প্যারোলে মুক্ত রাম রহিম, BJP-কে ভোটের আবেদন ডেরার)
আরও পড়ুন: 'সঞ্জয় রায়কে প্ররোচনা...', আরজি কর কাণ্ডে আদালতে লিখিত দিল CBI
আরও পড়ুন: GST সমেত ৭৯ হাজার ছুঁই ছুঁই সোনা, আজ কলকাতায় ফের বাড়ল হলুদ ধাতুর দাম
এর কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে ভারতে সন্ত্রাস চালানোর ছক নিয়ে ইসলামাবাদকে তোপ দেগেছিলেন এস জয়শংকর। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আয়োজিত রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'বহু দেশেই এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে, যেগুলির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকে না। ফলে তাদের পিছিয়ে পড়তে হয়। কিন্তু, এমন কিছু দেশও আছে, যারা স্বেচ্ছায় বিপর্যয় বেছে নেয়। যার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল, আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তান।' জয়শংকর সেদিন আরও বলেছিলেন, 'যখন এই ধরনের রাজনীতির ফলে সেই দেশের জনগণ ধর্মান্ধ হয়ে ওঠে, তখন কেবলমাত্র চরম মৌলবাদ এবং অন্য দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমেই সেই দেশের জিডিপি পরিমাপ করা যায়। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, অন্যদের ক্ষতি করার জন্য সন্ত্রাসের যে বীজ বপন করা হয়েছিল, তা তাদের নিজেদের সমাজকেই গিলে খাচ্ছে। ওরা চাইলে এর জন্য বাকি বিশ্বকে দোষারোপ করতেই পারে। কিন্তু, এটা আসলে ওদেরই কর্মফল।'