ভারত-চিন সম্পর্কের ভিত যে নষ্ট হয়েছে, তা মেনে নিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন মস্কোতে প্রিমাকোভ ইনস্টিটিউট অফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমি সেন্টারে সংবাদমাধ্যমকে জয়শঙ্কর বলেন, 'গত ৪০ বছর ধরে ভরত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল ছিল। চিন ভারতের দ্বিতীয় বৃহতত্ম বাণিজ্যিক বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে গত একবছর ধরে চিন চুক্তি মেনে কাজ করেনি। তাঁরা যে কথা মেনে সই করেছে, তার বিপরীত ধর্মী কাজ করেছে।'
এদিন জয়শঙ্কর আরও বলেন, '৪৫ বছর পর সীমান্তে এমন এক ঘটনা ঘটল যাতে প্রাণহানী হয়েছে। শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে সীমান্তে। আমাদের সম্পর্কের ভিত নষ্ট হয়েছে। আর ভিত নড়লে সম্পর্ক নষ্ট হতে বাধ্য।' তবে দুই পারমাণবিক শক্রি মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা নেই বলে দাবি করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ভারত ও চিনের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কোনও প্রতিযোগিতা রয়েছে বলে আমি মনে করি না। চিন পারমাণবিক শক্তি হয় ১৯৬৪ সালে। ভারত ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক শক্তি হয়ে ওঠে। চিনের পারমাণবিক কর্মসূচি আমাদের থেকে অনেক আলাদা এবং বহুমাত্রিক।' উল্লেখ্য, সীমান্তে অশান্তির জন্যে ভারত ও চিন ক্রমেই একে অপরকে দোষারোপ করে এসেছে। এই পরিস্থিতি সীমান্তে এখনও শান্তি ফেরেনি পুরোপুরি ভাবে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিবাদ শুরু হয়। যার জেরে গত বছরের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও বাঁধে। যার জেরে বেশ কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। লালফৌজেও প্রচুর প্রাণহানী ঘটে। তারপর অনেক আলোচনার পর দুই দেশ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু সম্প্রতি চিনের তরফে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে নতুন করে সেনা মোতায়েনের খবর সামনে এসেছে। সীমান্তের ওপারে তারা পরিকাঠামো তৈরি করছে বলেও খবর মেলে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ওই অঞ্চলে এখনও ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করা রয়েছে।