পরপর দাঁড়িয়ে গাড়ি এবং ট্রাক। দীর্ঘ এই গাড়ির লাইন গত চার দিন ধরে দেখা যাচ্ছে দিল্লি-কলকাতা জাতীয় মহাসড়কে। বিহারে মহাসড়কের একটি অংশে এই গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে আছে। এই বিশাল জানযটের ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রোহতাসে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের জেরে জাতীয় সড়ক নং ১৯-এর পাশে নির্মিত ডাইভারশন এবং সার্ভিস লেনগুলি প্লাবিত হয়েছে। যার জেরে মহাসড়কটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দাড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো গাড়ি।
এদিকে এই রাস্তাগুলিতে সর্বত্র গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়ক জলমগ্ন হওয়ার কারণে যানবাহনগুলির চাকা জায়গায় জায়গায় পিছলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা গাড়িগুলির জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে রাস্তার এই বেহাল দশা। দাবি করা হচ্ছে, কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে। মহাসড়কে যে যানজট লেগেছে, তা রোহতাস থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঔরঙ্গাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
আটকে থাকা গাড়িচালকদের অভিযোগ, যানজট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI) বা রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থার কেউও এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে যানবাহন ২৪ ঘণ্টায় মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। যানজটে আটকে থাকা ট্রাকচালকদের অভিযোগ, ৩০ ঘণ্টায় মাত্র ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পেরেছেন তারা। টোল, রোড ট্যাক্স এবং অন্যান্য খরচ দেওয়া সত্ত্বেও এহেন যানজটের সম্মুখীন হয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত তারা।
যানজটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পচনশীল খাদ্যসামগ্রী বহনকারী চালকরা বিশাল যানজটে আটকে পড়ে ভয় পাচ্ছেন, তাদের ট্রাকে থাকা কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এদিকে পথচারী, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পরিষেবা এবং পর্যটকদের যানবাহনও যানজটের কারণে দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।