জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গতরাতে গুলি লড়াই হয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এসওজি জওয়ানদের। এনকাউন্টারটি রাজৌরির কান্দির বীরান্তুব এলাকায় হয় বলে জানা গিয়েছে। গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান সেনা এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফের যৌথ দল ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলে। সেখানে তল্লাশি অভিযান চলছে। ড্রোন এবং থার্মাল ইমেজিং ডিভাইসের মাধ্যমে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলে রাতে। তবে এখনও কোনও জঙ্গি খতম হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
এদিকে অপর এক ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলার বসন্তগড়ের ধরনি এলাকাতে জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছে সেনা ও পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয়রা তিনজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর গতিবিধি লক্ষ্য করে সেখানে। সেই খবর দেওয়া হয় নিরাপত্তাবাহিনীকে। সেই খবর পাওয়ার পরই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় গতরাতেই। তবে এখনও কোনও জঙ্গির ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়নি উধমপুরেও।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ধর্ম জিজ্ঞেস করে পর্যটকদের মারা হয়েছিল। সেই হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক সহায়তা প্রদানকারী একজন ব্যক্তিকে গত সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উধমপুর এবং রাজৌরির ঘটনাতেও স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ জঙ্গিদের সাহায্য করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজৌরির যে এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের এনকাউন্টার হয়, সেখানে ভারী তুষারপাত হয়েছে। গা ঢাকা দিয়ে থাকা জঙ্গিদের কাছে আছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। এদিকে যেখানে এই জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে, সেই এলাকাটা নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে অনেকটাই দূরে। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় লোকজনের সাহায্য নিয়েই সেখানে পৌঁছেছে তারা। কালাকোট অঞ্চলের ব্রাভি লিঙ্ক রোডের কাছে এই জঙ্গিদের ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এলাকাটি নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে।