ফের একবার কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ খুলল ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন ওআইসি। এবং এর প্রেক্ষিতে ভারতও কড়া জবাব দিল ওআইসিকে। সম্প্রতি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার আসনের পুনর্বিন্যাশ হয়। সেই নিয়ে মন্তব্য করে ওআইসি সচিবালয়। আর ওআইসির সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আমরা হতাশ যে ওআইসি সচিবালয় আবারও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযৌক্তিক মন্তব্য করেছে।’ (আরও পড়ুন: ‘ভারতের সমালোচনা করবেন না...’, অপ্রত্যাশিত ভাবে নয়াদিল্লির ‘ঢাল’ হল বেজিং!)
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি কাশ্মীর নিয়ে ওআইসির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি সচিবালয়ের দাবিকে অতীতের মতো এবারও সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার।’ পাশাপাশি ওআইসিকে ‘সাম্প্রদায়িকতা’ ছড়ানোর পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকতে বলেছে ভারত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডিলিমিটেশন কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাশের রিপোর্ট জমা করে। এই আবহে আজকে ওআইসির তরফে একাধিক টুইটে এটা ব্যক্ত করা হয় যে ভারত নতুন করে রাজনৈতিক সীমা আঁকতে চাইছে জম্মু ও কাশ্মীরে। পাশাপাশি দাবি করা হয় যে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের ডেমোগ্রাফি বদলাতে চায়। এই আবহে ভারত সরকারের তরফে পাকিস্তানের নাম না করে বলা হয়, ‘ওআইসি একটি দেশের ইশারায় ভারতকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ডা চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত।’
উল্লেখ্য, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্ট জমার পর এবার জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের পথ সুগম হয়েছে। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সেখানে নির্বাচন হবে। ৯০ আসন বিশিষ্ট জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় জম্মু এলাকায় ৪৩টি আসন রয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় রয়েছে ৪৭টি আসন। এর আগে জম্মু এলাকায় ছিল ৩৭টি আসন। সেখান থেকে ৬টি আসন বেড়েছে জম্মুতে। তবে কাশ্মীরে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র একটি। পাশাপাশি বেশ কিছু আসন সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।