জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার কমপক্ষে ১৫০ সন্ত্রাসবাদী। এই তথ্য জানিয়েছেন উপত্যকায় সন্ত্রাস দমন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত দুই আধিকারিক।
গত বুধবার নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার রায়াজ নাইকু, যার মাথার দাম ছিল ১২ লাখ টাকা। গত মার্চ মাসে লকডাউনের মাঝেই কাশ্মীরে জোরদার অভিযান চালিয়ে মোট ৩৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে বাহিনী। প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন সেনাও।
সরকারি হিসেব বলছে, চলতি বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত ৬৮ সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে ১৩ জন বিদেশি নাগরিক। ২০১৯ সালে তাদের সংখ্যা ছিল ৩১। নথি অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ২১৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা সন্ত্রাসবাদীর খাতায় নাম লেখান। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১১৯ জনে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের হিসেব পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অধিকাংশ বিদেশি সন্ত্রাসবাদী পুলওয়ামা, অনন্তনাগ. কুপওয়ারা, শোপিয়ান, কুলগাম ও বারামুলা জেলায় ঘাঁটি গেড়েছে। তাদের নিশানায় রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটি ও টহলদারী হল।
আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের আত্মগোপনে ও নাশকতার ছক সাজাতে সাহায্য করেছেন স্থানীয় অধিবাসীদের একাংশ। তাঁদের মদতেই দীর্ঘ দিন ধরে কাশ্মীরের একাধিক গ্রামে লুকিয়ে থেকে সন্ত্রাসমূলক পদক্ষেপ করতে সফল হচ্ছে বিদেশি জহ্গিরা। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তিত দিল্লি।