ফের রক্ত ঝরল জম্মু ও কাশ্মীরে। জঙ্গিদের গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল উপত্যকা। গত তিন দিনের মধ্যে তৃতীয়বার এই ধরনের ঘটনা ঘটল জম্মু ও কাশ্মীরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বন্দুকের লড়াই চলছে। এই নিয়ে পুলিশ বলে, 'ডোডার ছত্তরগলা এলাকায় সেনা ও পুলিশের যৌথ চেকপয়েন্টে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। জঙ্গিদের সঙ্গে সেখানে গুলির লড়াই চলছে।' এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রাথমিক ভাবে দু'জন জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে এনকাউন্টার শুরুর পর থেকে কোনও জওয়ান জখম হয়েছে বলে খবর মেলেনি। (আরও পড়ুন: মণিপুরকে অগ্রাধিকার দিতে বললেন ভাগবত; তাঁর কথা তো শুনুন, মোদীকে বার্তা বিরোধীদের)
আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য প্রায় ১৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন এই কর্মীরা, জারি হল বিজ্ঞপ্তি
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত ও অন্য দু'জন আহত হন গতকালই। সেই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ডোডায় এই হামলা চালানো হয়। এদিকে তিন দিন আগেই সন্ত্রাসীরা তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। সেই হামলায় ৯ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে কাঠুয়ায় এখনও জঙ্গি দমন অভিযান জারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কাঠুয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের তত্ত্বাবধানে থাকা জম্মু জোনের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক আনন্দ জৈন বলেছেন, ডোডার ছত্তরগলা এলাকায় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সেখানে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী রয়েছে। সেই যৌথ বাহিনীর ওপরেই গভীর রাতে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। জবাবি গুলি ছোড়ে যৌথ বাহিনীও।
এদিকে সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা পাহাড়ের ওপরের দিকে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে যৌথ বাহিনীর জওয়ানরা জঙ্গিদের পিছু নিয়েছে। জঙ্গিদের খতম করার জন্যে ভোরেও অভিযান জারি রয়েছে। এই আবহে সেই এলাকায় বাহিনী এবং জঙ্গিদের গুলির লড়াই জারি রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
এর আগে রবিবার জম্মুর রিয়াসি জেলায় তীর্থযাত্রী ভর্তি একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ ১১টি দল গঠন করে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর। জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে রিয়াসির তেরিয়াথ গ্রামে এই জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, পুঞ্চে গত মাসে এয়ারফোর্সের বাসে যারা গুলি চালিয়েছিল তারা এর পেছনে থাকতে পারে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ফরেনসিক দল হামলাকারীদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও তার তৈরি অস্ত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এবং ঘটনাস্থল থেকে খালি শেল সংগ্রহ করেছে।