চিনকে পালটা চমকাতে ছক কষতে শুরু করেছে জাপান। মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই চিন নিজেদের শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে দক্ষিণ চিন সাগরে। এই আবহে ইয়োমিউরি সংবাদপত্র রবিবার জানায়, চিনের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ করার ক্ষমতা বাড়াতে জাপান হাজারটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা বিবেচনা করছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিক পত্রিকাটি বলেছে, বর্তমানে ১০০ কিমি সীমার ক্ষেপণাস্ত্রগু মোতায়েন রয়েছে জাপানের উপকূলে। তবে সেই মিসাইলের বদলে দূরপাল্লার মিসাইল বসানোর কথা ভাবছে জাপান। এই দূরপাল্লার মিসাইল ১০০০ কিমি পর্যন্ত যেতে পারবে বলে জানা গিয়েছে।
ইয়োমিউরি বলেছে, জাহাজ বা বিমানের মাধ্যমে উৎক্ষেপিত অস্ত্রগুলি মূলত দক্ষিণের নানসেই দ্বীপের চারপাশে স্থাপন করা হবে এবং উত্তর কোরিয়া ও চীনের উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অবশ্য এই রিপোর্ট সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি এখনও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে জাপানের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটি শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য তারা সামরিক বাহিনী ব্যবহার করতে পারে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তারা সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে। তবে এটি বিদেশের মাটিতে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে এমন অস্ত্র মোতায়েন থেকে বিরত থেকেছিল।
তবে এই মাসে মার্কিন প্রতিনিধি কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ানে সফরের পর থেকেই আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে। বেজিং তাইওয়ানের কাছে এবং জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর জবাবে এবার জাপানও কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।