'দিল্লি ডায়ালগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিশনে'র ভাইস চেয়ারম্যান জ্যাসমিন শাহকে ছাঁটাই করার নির্দেশ দিলেন দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। অই নির্দেশ গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে। ইতিমধ্যেই জ্যাসমিন শাহের ডিডিডিসি অফিসে লাগানো হয়েছে তালা। তাঁর সমস্ত স্টাফ তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, জ্যাসমিনের অফিসকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে।
দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নরের এই নির্দেশ ঘিরে ফুঁসে উঠেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। মণীশ সিসোদিয়া সরব হয়ে টুইট করেন,'জ্যাসমিনের অফিস লক করা হয়েছে , অভিযোগ তিনি আপের মুখপাত্র। তাহলে সম্বিত মহাপাত্ররও অফিস লক করা হোক, তিনিও আইটিডিসির চেয়ারম্যান, তিনিও বিজেপির মুখপাত্র।' প্রসঙ্গত, দিল্রি সরকারের থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসাবে ডিডিডিসির অফিসের পরিচিতি ছিল। সেই থিঙ্কট্যাঙ্কের অফিসেই পড়ে গিয়েছে তালা। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ আম আদমি পার্টি। এদিকে, যাঁকে ঘিরে এই গোটা ঘটনা আবর্তিত হচ্ছে সেই জ্যাসমিন শাহকে শো কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁকে গত ১৭ অক্টোবর ডিরেক্টর অফ প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট থেকে এই নোটিস পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে আম আদামি পার্টির ‘অফিশিয়াল স্পোকসপার্সন’ বলে আখ্যা দিয়ে, অভিযোগ করা হয়েছে যে তাঁর সরকারি দফতরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলত। জানা গিয়েছে, এরপর কোনও উত্তর না পাওয়াতেই দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নর এই পদক্ষেপ নেন।
এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লেখেন সেখানের লেফ্টন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। ৪ নভেম্বর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দফতরে চিঠি পাঠান ভিকে সাক্সেনা। সেখানে কেজরিওয়ালকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তিনি যাতে জেসমিন শাহকে পদ থেকে ছাঁটাই করেন। সরাসরি ‘স্যাক’ করার নির্দেশ সেই চিঠিতে রয়েছে। এদিকে, এই গোটা ঘটনা নিয়ে তোলপাড় দিল্লির রাজনীতি।