ভোট না দেওয়া এবং প্রচারের কাজে অংশগ্রহণ না করার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহাকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছিল দল। এরকম আচরণে বিস্মিত হলেন বিজেপি সাংসদ। একইসঙ্গে শোকজ নোটিশ সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসায় দলের প্রতি বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সিনহার দাবি, ব্যক্তিগত কাজের জন্য তিনি বাইরে ছিলেন। তাই ব্যালট পেপারে ভোট দিয়েছেন। অথচ কোনও খোঁজ খবর না নিয়ে এভাবে শোকজ নোটিশ পাঠানোয় তিনি আশ্চর্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোট দেননি বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহা, অবস্থান জানতে শোকজ নোটিশ পাঠাল দল
শোকজ নোটিশের উত্তরে জয়ন্ত সিনহা বলেন, ‘আমি শোকজ নোটিশ পেয়ে খুব অবাক হয়েছি।’ হাজারিবাগ আসন থেকে মণীশ জয়সওয়ালকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকে সিনহা সাংগঠনিক কাজ এবং নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন না বলে যে অভিযোগ উঠেছিল তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘কোনও দলীয় অনুষ্ঠান বা সমাবেশের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দল জয়সওয়ালকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার পর আমি তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। আমি তাঁকে বলেছিলাম যদি কোনও নির্বাচনী কর্মসূচিতে আমাকে দরকার হয় তাহলে আপনি অবশ্যই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন। তবে, ঝাড়খণ্ডের কোনও দলীয় নেতৃত্ব বা সাংসদ-বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আমাকে কোনও দলীয় অনুষ্ঠান, সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
উল্লেখ্য, এবার নির্বাচনে না দাঁড়ানোর কথা আগেই বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডাকে জানিয়েছন জয়ন্ত সিনহা। সে প্রসঙ্গে উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি গত ২ মার্চ লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা জানিয়েছিলাম। নড্ডাজির সঙ্গে পরামর্শ করার পরে আমি প্রকাশ্যে বলেছিলাম যে আমি এই নির্বাচনে লড়ব না। এমনকী, জয়সওয়াল প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলাম। তবে তিনি উপস্থিত ছিলেন না, তাই আমি তাঁর পরিবারের কাছে আমার বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
এরপরেই শোকজ নোটিশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, দলের প্রতি তাঁর অবদান থাকা সত্ত্বেও শোকজ নোটিশ যেভাবে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তা অপ্রীতিকর। এরফলে পার্টির কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলের জন্য আমার আনুগত্য এবং কঠোর পরিশ্রম সত্ত্বেও আমাকে অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।’ তাঁর বক্তব্য, তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে বা ফোনে এই কথা বলা যেত। কিন্তু, নোটিশ প্রকাশ্যে আনা একেবারেই ঠিক হয়নি।