গতকালই নীতীশ কুমারের কথায় মিলেছিল ইঙ্গিত। যে কোনও ভাবেই শৃঙ্খলাঙঙ্গ করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। তারপরেও বিহার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন প্রশান্ত কিশোর। এদিন হাতেনাতে পেলেন ফল। দল থেকে তাঁকে বিতাড়িত করল সংযুক্ত জনতা দল। একই সঙ্গে বহিষ্কৃত হলেন সাধারণ সম্পাদক পবন ভার্মা। জেডিইউ জানিয়েছে এই দুই নেতার সাম্প্রতিক বয়ান থেকে এটা স্পষ্ট যে তাঁরা দলের নীতি ও শৃঙ্খলা মানতে চান না।
হালে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দুই নেতা। নীতীশ কুমার কেন চুপ আছেন সিএএ নিয়ে, এই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। এটিকেই দলবিরোধী আচরণ বলে গণ্য করে দুই নেতাকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি শরিক জেডিইউ। কিশোর নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ দলের।
গতকাল নীতীশ বলেন যে অমিত শাহর কথায় তিনি প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে প্রশান্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন যে আর কত নিচে নামবেন। এদিন তাঁর পালটা দিল জেডিইউ। প্রশান্ত কিশোর যাতে আরও নিচে না নেমে যান, তার জন্যে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা প্রয়োজন বলে জেডিইউ-র দাবি।এই ঘোষণার পরে টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেছেন যে বিহারের কুরসি বাঁচানোর জন্য নীতীশের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।
প্রশান্ত কিশোরের ধারাবাহিক টুইট সম্বন্ধে মঙ্গলবার নীতীশ বলেন, ' কেউ যদি টুইট করতে চায়, করুক। তার সঙ্গে আমার কি এসে যায়। কেউ চাইলে জেডিইউতে থাকতে পারে, বা ইচ্ছে হলে চলে যেতে পারে।' তবে এতেই ইতি টানেননি নীতীশ কুমার। প্রশান্ত কিশোরকে বিড়াম্বনায় ফেলার জন্য তিনি বলেন, ' আপনারা জানেন কীভাবে জেডিইউ দলে এল প্রশান্ত কিশোর? অমিত শাহ ওকে দলে নিতে বলেছিল '।নরেন্দ্র মোদীর হয়ে প্রাথমিক ভাবে ২০১৪ নির্বাচনের সময় রণনীতি ঠিক করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এরপর তাঁর সংগঠন আইপ্যাক বিভিন্ন দলকে সাহায্য করেছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করছে তারা। প্রশান্ত নিজে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত জনতা দলে যোগ দেন। প্রথমেই তাঁকে দলের সহ-সভাপতি নিযুক্ত করেন নীতীশ। কিন্তু বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন তিনি।
নীতীশ কুমারের কড়া প্রতিক্রিয়ার পর চুপ করে থাকেননি প্রশান্ত। সন্ধ্যায় তিনি টুইট করেন, 'কতটা নিচে নেমেছেন যে আমি কীভাবে ও কেন জেডিইউয়ে যোগ দিয়েছিলাম, তা নিয়ে মিথ্যা বলতে হল। এই চেষ্টা করাটা ও আপনার মতো আমার রং দেখানোর প্রয়াস খুব বাজে হল। আর আপনি যদি সত্যি কথা বলেন, তাহলে আপনাকে কে বিশ্বাস করবে যে অমিত শাহের সুপারিশ করা যে কোনও লোকের কথা শুনবেন না?'