বিহারে রাজনৈতিক গণিতে সদ্য হয়েছে ওলটপালট! সে রাজ্যে বিজেপির হাত ছেড়ে জেডিইউ বেরিয়ে এসে আরজেডির সঙ্গে জোট গড়েছে। নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবরা হাত মিলিয়ে গড়েছেন বিহারের সরকার। এদিকে, সদ্য নীতীশ কুমারের পার্টি জেডিইউ নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা দিল্লিতে রয়েছেন, তিনি সেখানে এইমসে চেক আপ করাচ্ছেন। আর সেই সময়ই তিনি কয়েকজন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে খবর।
উপেন্দ্র কুশওয়াহার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের এই সাক্ষাৎ ঘিরে উঠছে নানান প্রশ্ন। জল্পনা এটাই যে, তাহলে কি উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? জল্পনা জিইয়ে রেখে বিজেপি জানিয়েছে,'উপেন্দ্র কুশওয়াহা এনডিএর প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন। যে নেতারা উন্নয়নের রাজনীতির পক্ষে আর জাতীয়তার পক্ষে তাঁদের সকলকে আমাদের পার্টিতে স্বাগত।' বিজেপির মুখপাত্র অরবিন্দ কুমার সিংয়ের এই বক্তব্যেই জাতীয় রাজনীতিতে দোলাচল শুরু হয়েছে। এদিকে তোলপাড় বিহারের রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তলে তলে নীতীশ কুমারের পার্টিতে ব্যাপক ভাঙন লাগতে শুরু করেছে? উল্লেখ্য, দিল্লির এইমসে উপেন্দ্র কুশওয়াহা ভর্তি রয়েছেন রুটিন চেক আপের জেরে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতা প্রেমরঞ্জন প্যাটেল, সঞ্জয় টাইগার, যোগেন্দ্র পাসওয়ান দেখা করতে যান। সেই খবর ঘিরেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি, গোবলয়ের রাজনীতিতে কোনও বড় পরিবর্তন আনতে চলেছেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা।
বিশেষত ২০২৪ লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে সব পার্টিই নিজের মতো করে গুছিয়ে নিচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণের ঘুঁটি। সেই জায়গা থেকে বিহারের রাজনীতি তথা গোবলয়ে নতুন জল্পনা উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে ঘিরে। উল্লেখ্য, উপেন্দ্র কুশওয়া ২ বছর আগে রাষ্ট্রীয় সমতা পার্টি জুড়ে দিয়েছিলেন নীতীসশ কুমারের জেডিইউয়ের সঙ্গে। এরপর দুই নেতার সম্পর্ক বিভিন্ন খাতে বয়ে যায়। সদ্য উপেন্দ্র কুশওয়াহা দাবি করেছেন যে, তাঁর উপ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার রাস্তায় কার্যত বাদা ছিলেন নীতীশ নিজে। এমনকি আরজেডির সঙ্গে নীতীশের পার্টির জোটেরও বিরোধী ছিলেন উপেন্দ্র। সেই জায়গা থেকে এইমসের রুমে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে উপেন্দ্রর সাক্ষাৎ বিহারের রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক মনে করা হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup