২০১৪ এবং ২০১৯ সালে জোট সরকার থাকলেও বিজেপির কাছে ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তবে ২০২৪ সালে চিত্রটা ভিন্ন। বিজেপির আসন সংখ্যা এবার ২৪০। জোট তথা দেশের সর্ববৃহৎ দল হলেও তাদের কাছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এই আবহে সরকার টিকিয়ে রাখতে জোটসঙ্গীদের ওপর এবারে বেশি নির্ভরীল বিজেপি। আর তাই জোটসঙ্গীদের কাছেও দর কষাকষির ক্ষমতা বেশি। সেই ক্ষমতা ইতিমধ্যেই কাজে লাগাতে শুরু করে দিয়েছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। রিপোর্টে দাবি করা হল, বিজেপিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং এক দেশ, এক নির্বাচনের মতো ইস্যুতে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন নীতীশ। তবে তার বদলে সেনায় অগ্নিপথ স্কিমে জওয়ান ভরতির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার দাবি জানিয়েছেন নীতীশ। অগ্নিপথ প্রকল্পে বদল চেয়ে নাকি নীতীশ এর আগে আইন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন। এই আবহে বর্তমানে জেডিইউ অগ্নিপথ স্কিমকে পুরোপুরি বাতিল করতে বলছে না, তবে এতে বেশ কিছু বদল আনার দাবি জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: হার ১৯ মন্ত্রীর, দাবি বেড়েছে শরিকদের, মোদী ৩.০-তে বদলাবে ক্যাবিনেটের চেহারা)
আরও পড়ুন: যে যে রাজ্যে মোদী বেশি প্রচার করেছেন, সেখানেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির, বলছে তথ্য
আরও পড়ুন: ইন্দিরার হত্যাকারীর ছেলে, জেলবন্দি খলিস্তানির জয় ভোটে, কোন পথে পঞ্জাবের রাজনীতি?
সাম্প্রতিককালে ভারতের সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এই নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। রাস্তায় নেমে হাজার হাজার যুবক কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন রাজ্যে। বিহারেও সেই আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পড়েছিল। উল্লেখ্য, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে বাহিনীতে যোগ দেওয়া মাত্র ২৫ শতাংশ জওয়ানকেই ৪ বছরের পরও নিয়োগ করে রাখা হবে। এদিকে নিজের লেখা এক বইতে প্রাক্তন সেনা প্রধন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নারাভানে দাবি করেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে সেনায় যোগ দেওয়া জওয়ানদের আরও বেশি সংখ্যায় যাতে বাহিনীতে রাখা হয়, তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে বাহিনীতে যোগ দেওয়া জওয়ানদের বেতন যাতে আরও বেশি হয়, তার জন্যেও সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল বলে নিজের বইতে লিখেছেন প্রাক্তন সেনা প্রধান। (আরও পড়ুন: হারের পর ফোন আসেনি হাইকমান্ডের, নতুন বাড়ি খুঁজতে দিল্লি যাচ্ছেন অধীর)
আরও পড়ুন: 'বাংলায় সংগঠন শুয়ে পড়েছে', পদ ছাড়াই দলের হাল ধরার বার্তা দিলীপ ঘোষের
আরও পড়ুন: ৯৯ হলেও এখনও সেঞ্চুরি করতে পারে কংগ্রেস! জোটসঙ্গীদের হাত পুড়িয়েই বদল অঙ্কে?
জেনারেল নারাভানে দাবি করেন, তাঁর প্রস্তাব ছিল, এই প্রকল্পে নিযুক্ত জওয়ানদের ৭৫ শতাংশকেই বাহিনীতে রেখে দেওয়া হোক। এবং ২৫ শতাংশকে ছেড়ে দেওয়া হোক। তবে সরকার ঠিক উলটোটাই করে। এদিকে সেনা জওয়ানদের বেতন নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানোর কথাও বইতে উল্লেখ করেন জেনারেল নারাভানে। তিনি নাকি লিখেছেন, দিনমজুরের মতো তো জওয়ানদের তুলনা করে বেতন দেওয়া যায় না। যাদের অগ্নিবীর হিসেবে সেনায় নিয়োগ করা হবে, তাদের মাসে মাসে ২১ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। চার বছরের পরিষেবার পর অবসরের সময় সেবা নিধি প্রকল্পে কর্মীরা ১০ লক্ষ ৪ হাজার টাকা পাবেন।