চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্র্যান্স পরীক্ষার চতুর্থ সেশন নিয়ে উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে যে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ১৫ লক্ষ টাকার বদলে নিজের পরীক্ষা অন্য কারুর মাধ্যমে দিয়েছে। ২ সেপ্টেম্বরের সেই সেশন ঘিরে তৈরি হয়েছে সংশয়। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি 'জেইই মেন' বাতিল হয়ে গেল? তাহলে 'জেইই অ্যাডভান্সড'-এর কী হবে?
দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অ্যাফিনিটি এডুকেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থা এবং সংস্থার ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ কৃষ্ণ, বিশ্বম্বর ত্রিপাঠী এবং গোবিন্দ বর্ষণীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে। দিল্লি, পুণে, জমশেদপুর, ইন্দোর এবং বেঙ্গালুরুর বহু জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।
এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল টেস্টিং অ্যাজেন্সির কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, যেই সেন্টার নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে, সেই সেন্টারগুলির পরীক্ষা বাতিল করার অধিকার রয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং অ্যাজেন্সির। সেই ক্ষেত্রে কোনও এক পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ স্কোরকে বেছে নেওয়া হবে। তবে সেই পীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ স্কোর যদি সেই বাতিল পরীক্ষায় হয়, তবে তা গ্রহণ করা হবে না। তবে করোনা আবহে পুরো পরীক্ষা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ পুরো পরীক্ষা বাতিল হলে নতুন করে পরীক্ষা করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তাছাড়া কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ বদল করতে হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর জেইই মেন পরীক্ষার চতুর্থ সেশন ছিল। এই পরীক্ষা ন্যাশনাল টেস্টিং অ্যাজেন্সির দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। সেই দিনই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে যে অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা পরীক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে দিতে প্রশ্নপত্রের জবাব বেআইনি ভাবে সোনিপতের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে।