'গরিব' হয়ে গেলেন গৌতম আদানি! নামলেন বিশ্বের ধনীতমের তালিকায়, দশের বাইরে আম্বানি

সূচক অনুযায়ী বর্তমানে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ $১৩৫ বিলিয়ন (১০.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা)। অন্যদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি জেফ বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ $১৩৮ বিলিয়ন (১১.২৩ লক্ষ কোটি টাকা)।

গৌতম আদানি এখন বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স এমনটাই বলছে। বর্তমানে আদানির থেকেও ধনী, এমন ব্যক্তি বিশ্বে মাত্র ২ জন। একজন হলেন, আমাজন কর্তা জেফ বেজোস। অপরজন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। ছবি সূত্র- আদানি গ্রুপ (Adani Group)

সামান্য একটু পিছিয়ে গেলেন গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচকে বর্তমানে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছেন ধনীতম ভারতীয়। আমাজনের জেফ বেজোস তাঁর দ্বিতীয় স্থান ফের ফিরে পেয়েছেন। তবে দু'জনের মধ্যে খুবই কম ব্যবধান।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মোট সম্পদ বা নেট ওয়ার্থের লাইভ র‌্যাঙ্কিং করা হয়। সেই সূচক অনুযায়ী বর্তমানে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ $১৩৫ বিলিয়ন (১০.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা)। অন্যদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি জেফ বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ $১৩৮ বিলিয়ন (১১.২৩ লক্ষ কোটি টাকা)। ৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাসের কারণে এই র‌্যাঙ্কিংয়ে সামান্য পিছিয়ে গিয়েছেন আদানি।

তবে টেসলার ইলন মাস্ক এখনও সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ২৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (১৯.৯৩ লাখ কোটি) মোট সম্পদ তাঁর। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির পদ এখনও তাঁরই দখলে।

মুকেশ আম্বানির কী অবস্থা?

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এখন বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীতমের তালিকার বাইরে আছেন। বর্তমানে তাঁর নেট ওয়ার্থ ৮২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(৬.৭০ লক্ষ কোটি টাকা)। বিশ্বের ১১তম স্থানে রয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় অতি সম্প্রতি দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন গৌতম আদানি। তবে তাঁর এই অবস্থান বেশিদিন টিকল না।

তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে এখনও তীব্র বেগে এগিয়ে চলেছেন গৌতম আদানি। সম্প্রতি দু'টি সিমেন্ট সংস্থা অম্বুজা সিমেন্ট এবং ACC-র অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেছে আদানি গোষ্ঠী। বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর অধীনে।

আদানি গ্রুপ দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর অপারেটর। ভারতের প্রতি ৪ জন বিমানযাত্রীদের মধ্যে ১ জন আদানি গোষ্ঠীর থেকে পরিষেবা পান। এয়ার কার্গোর ৪০%-ও আদানি গোষ্ঠীর মারফত পরিচালিত হয়। তার পাশাপাশি ৩০% মার্কেট শেয়ার সহ দেশের বৃহত্তম পোর্ট এবং লজিস্টিক কোম্পানিও গৌতম আদানির নামে।