সিইও হিসেবে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। আগামী ৫ জুলাই অ্যামাজনের আধিকারিক অ্যাজ্যাসির হাতে সিইও-র দায়িত্ব তুলে দেবেন বলে জানালেন তিনি।
একটি ছোট এক কামরার অফিস। দেওয়ালে একটি পিচবোর্ডে স্প্রে পেন্ট দিয়ে নিজেই লিখেছিলেন Amazon.com । একটি পুরনো টেবিল ও কম্পিউটার। এভাবেই ১৯৯৪ সালে ৩০ বছর বয়সে অ্যামাজনের সূচনা করেছিলেন জেফ বেজোস। নিউ ইয়র্কে মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে অনলাইন বই বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেফ।
সেই সময়ে ইন্টারনেটের সেভাবে চল হয়নি। তা সত্ত্বেও এতটা ঝুঁকি নিলেন কী করে? ২০০২ সালে এক ইন্টারভিউ-তে জেফ বেজোস জানিয়েছিলেন, 'নিউ ইয়র্কের সংস্থায় কাজ করার সময়েই একটি রিপোর্ট পেয়েছিলাম। সেখানে বলা হয়েছিল অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। আগামী ২০ বছরে তা আরও কয়েক লক্ষ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এটি দেখেই আমি চাকরি ছেড়ে ইন্টারনেট সম্পর্কিত কোনও ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিই।'
আর বাকিটা ইতিহাস। আজ বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি। ৫৭ বছর বয়সী জেফ বেজোসের নেট ওয়ার্থ ১৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সূত্রের খবর, আপাতত তাঁর মহকাশ অভিযান সম্পর্কিত সংস্থা ব্লু অরিজিনেই আরও বেশি সময় দেবেন বেজোস। সেই সঙ্গে অ্যামাজনের এক্সিকিউটিভের চেয়ারেও থাকবেন তিনি।