ব্রিটেনের রাজনীতি তোলপাড় করে এবার জেরেমি হান্টকে চ্যান্সেলার পদ দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। উল্লেখ্য, এই পদক্ষেপের দ্বারা ব্রিটেনের রাজনীতিতে দুটি ফ্যাক্টর সামনে আসছে।
প্রথমত, বহুদিন ধরে ব্রিটেনের রাজনীতিতে একেবারে পিছনের সারিতে আচমকা চলে যাওয়া জেরেমিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ট্রাস চেষ্টা করলেন তাঁর রাজনৈতিক ভাবধারা স্পষ্ট করতে। অন্যটি হল বিরোধীদের তিনি কাছে টানতে চাইছেন।
টোরি পার্টির নেতৃত্ব ইস্যুতে এককালে ব্রিটেনের রাজনীতিতে খুল্লাম খুল্লা ঋষি সুনাককে সমর্থন জানিয়েছিলেন জেরেমি। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে জেরেমি নিজে ছিটকে যেতেই তিবি ঋষিকে সমর্থন জানান। সেই জায়গা থেকে তাঁকে ট্রাস বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছিল।আর তাঁকেই চ্যান্সেলার পদ দিয়ে কার্যত ট্রাস তাঁর বিরোধী শিবিরে একাত্মের বার্তা দিয়ে দিয়েছেন।
এই পদক্ষেপ ট্রাসের দিক থেকে কতটা বড় মাস্টারস্ট্রোক তার উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ। ২০০৫ সাল থেকে দক্ষিণ পশ্চিম সারের জনপ্রতিনিধি তিনি। এরপর থেরেসা মের হাত থেকে ব্রিটেনের রাজপাট ২০১৯ সালে বরিস জনসনের হাতে যাওয়ার পর থেকে খানিকটা ব্যাকফুটে থাকতে শুরু করেন জেরেমি। ‘কমনস হেল্থ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার সিলেক্ট কমিটি’র তিনি সদস্য ২০২০ সাল থেকে।
এদিকে, কোয়াসি কোয়ারতেংকে সরিয়ে সেই জায়গায় জেরেমি হান্টকে আনা লিজের কতবড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ হতে পারে, তার আঁচ করতে ব্যস্ত ব্রিটেনের নানান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দেশের বিভিন্ন কর ব্যবস্থা নিয়ে নানান সময়ে মুখ খুলেছেন জেরেমি। ব্রিটেনে কর্পোরেশন ট্যাক্সে লাঘব হওয়ার ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এবার তিনি বসছেন চ্যান্সেলার পদে।