হাই কোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোট হয়েছে। ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। এই আবহে গতকালই সু্প্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ কুমার আগরওয়াল। তবে হাই কোর্টের রায়ের কপি পেশ না করতে পারায় সুরেশবাবুর আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার শুনানিই হয়নি সর্বোচ্চ আদালতে। সোমবার মামলাটি উত্থাপিত হলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের সামনে হস্তক্ষেপের দাবি করেন পুরপ্রধানের হয়ে সওয়ালকারী দুই আইনজীবী। এরপর প্রধান বিচারপতি হাই কোর্টের রায়ের কপি চাইলে তাঁকে জানানো হয়, উচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে রায়ের কপি আপলোড করা হয়নি তখনও। এই আবহে বিচারপতি চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রায়ের প্রতিলিপি ছাড়া তাঁর পক্ষে মামলার শুনানি করা সম্ভব নয়।
এদিকে প্রধান বিচারপতি এদিন আবেদনকারীর কাছে আশা ব্যক্ত করেন যে কলকাতা হাই কোর্টের রায় প্রাসঙ্গিক হবে। এদিকে উচ্চ আদালতের ওপর ভরতা করতে বলেও পরবর্তীতে এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানোর অনুমতি দেওয়া হয় সুরেশবাবুকে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ নভেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে ঝালদা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি রয়েছে৷
এদিকে সোমবার পুরসভার আস্থাভোটে অংশই নেননি তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণকারী ৭ জনই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। যার ফলে পতন হয় তৃণমূল পুরবোর্ডের। উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভায় মোট ১২ জন কাউন্সিলর। সংখ্যাগরিষ্ঠার জন্য সেখানে প্রয়োজন হয় ৭ জন কাউন্সিলরের সমর্থনের। উল্লেখ্য, ঝালদা পুরভোটের পরই কংগ্রেসের কাউন্সিল তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছিল। এরপর তৃণমূল ঝালদা পুরসভার দখল নিয়েছিল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝালদায় তৃণমূলকে বড় ঝটকা দিল কংগ্রেস।