ঝাড়খণ্ড সরকার শীঘ্রই একটি বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে সমস্ত শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বর্ণ শংসাপত্র দেওয়ার জন্য সমস্ত স্কুলে শিবির করবে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে ঘোষণা করেন পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘সরকার বর্ণ শংসাপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে থাকা সমস্যার কথা বিবেচনা করেছে। ২৯ ডিসেম্বরের পরে বেসরকারি এবং সরকারি স্কুল জুড়ে ছাত্রদের বর্ণ শংসাপত্র দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করবে সরকার। তাছাড়াও সরকার শীঘ্রই জন্মের সময় থেকেই বর্ণ শংসাপত্র দেওয়া শুরু করবে।’
এর আগে বিজেপি বিধায়ক নীলকান্ত সিং মুন্ডা বলেন, ‘এই সরকার নিজেদের আদিবাসীদের শুভাকাঙ্ক্ষী বলে দাবি করে। তবে এই গোষ্ঠীগুলিকে একটি বর্ণ শংসাপত্র ইস্যু করতেও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু (ধর্মীয়) গোষ্ঠীগুলিকে শুধুমাত্র স্ব-ঘোষিত নথি প্রদানের মাধ্যমে তাদের অধিকারের দাবি জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই, তবে সম্ভাবনা রয়েছে যে সংখ্যালঘুর ছদ্মবেশে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাও সুবিধা পেতে পারে।’
অভিযোগ উঠছিল যে লোহার, লোহরা এবং বারাইক জাতির অন্তর্গত মানুষজন জাতিগত শংসাপত্র পেতে সমস্যায় পড়েছেন। এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল বিজেপি সবসময় শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে। সবাই জানে যে আমাদের সরকার আদিবাসী, দলিত ও সংখ্যালঘু সহ রাজ্যের সকল নাগরিকের জন্য কাজ করে। আমরা বাংলাদেশি বা পাকিস্তানিদের জন্য নয়, ঝাড়খণ্ডের ৩.২৫ কোটি মানুষের জন্য কাজ করছি।’