ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার পাথর খাদান মামলায় আর্থিক তছরুপ ঘিরে ইডির অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই নেতা ইডির তলবের পর বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে যান। আর তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকা তছরুর মামলায় অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, ইডিকে লেখা চিঠিতে সোরেন জানান যে, যে রাজ্যেই সম্পদ্রে প্রাকৃতিক উৎস রয়েছে সেখানেই অবৈধ খাদানের ‘অভিশাপ’ থাকে। তিনি লেখেন ‘ঝাড়খণ্ড তার ব্যতিক্রম নয়’। তিনি এও জানিয়েছেন, গোটা ঝাড়খণ্ডের পাথর খাদান থেকে মোট রয়্যালটি আয় হল, ৭৫০ কোটি টাকার। তাঁর প্রশ্ন, ‘তাহলে কীভাবে ইডি বলতে পারে যে ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে?’ এরপর ইডি অফিসে ঢোকার আগে হেমন্ত সোরেন মিডিয়াকে জানান, ‘আমি একজন মুখ্যমন্ত্রী। আমি সাংবিধানিক পদে রয়েছি। তবে যেভাবে আমাকে সমন করা হয়েছে, মনে হচ্ছে, আমি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছি যেন। আমার তো মনে হয়, ব্যবসায়ী ছাড়া কোনও রাজনৈতিক নেতা দেশ ছেড়ে পালাননি। ’ এ প্রসঙ্গে যে হেমন্ত সোরেনের প্রচ্ছন্ন নিশানায় নীরব মোদী বা বিজয় মালিয়ার প্রসঙ্গই ছিল তা বলা বাহুল্য।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হেমন্ত সোরেন এও বলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে আনা এই বড়সড় অভিযোগ ঘিরে তিনি বেশ হতবাক। হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘আমি অবাক যে, একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এতবড় অভিযোগ এত হালকাভাবে কী করে কেউ আনতে পারে!’ উল্লেখ্য, রাঁচিতে ইডির দফতরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন তলব ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ছিল বলে জানা যায়। এর আগে হেমন্ত সোরেনকে ইডি ৪ নভেম্বর সমন পাঠায়। তবে সেদিন তাঁর অফিশিয়াল কিছু কর্মসূচি থাকায় সোরেন জানিয়ে দেন যে, তিনি সেদিন ইডির দফতরে যেতে পারবেন না। তারপর ১৭ নভেম্বর ইডির দফতরে যান হেমন্ত সোরেন।