লাভ জিহাদের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় ঝাড়খণ্ড। গত ২৩ অগস্ট অঙ্কিতা কুমারী নামক এক দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটা ঘটেছিল দুমকা জেলার জারুয়াডিহ এলাকায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল প্রতিবেশী যুবক শাহরুখ হুসেনের বিরুদ্ধে। এরপর ২৮ অগস্ট গ্রেফতারও করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। তবে নির্যাতিতা অঙ্কিতাকে আর বাঁচানো গেল না। জখমের কারণে গতকাল মারা যান অঙ্কিতা।
গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় অঙ্কিতাকে ফুল ঝান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসারা তাঁকে রাঁচি ইনস্টিটিউট অফ মেডিকাল সায়েন্সে রেফার করেন। সেখানেই রবিবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই আবহে ধৃতের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলেছেন নিহত তরুনীর পরিবার। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপিও।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে পুলিশকে অঙ্কিতা জানিয়েছে, অভিযুক্ত শাহরুখ তাঁকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দিয়ে উত্তক্ত করত প্রায়সই। তাঁকে হেনস্থাও করত প্রতিবেশী সেই যুবক। হামলার আগেরদিন অঙ্কিতাকে ফোন করে হুমকিও দিয়েছিল শাহরুখ। পরদিন ভোরে অঙ্কিতার ঘরের খোলা জানলা দিয়ে পেট্রোল ছিটিয়ে অঙ্কিতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেন শাহরুখ। এদিকে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে হেমন্ত সোরেনের সরকার আসার পর থেকেই ঝাড়খণ্ডে লাভ জিহাদ ও ধর্মান্তরিত করার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে কংগ্রেস এবং জেএমএম অন্ধের মতো আচরণ করছে। শাহরুখকে অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবিও করা হয়। এদিকে বিজেপির পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিও এই ঘটনায় রাস্তায় নেমেছে। প্রতিবাদ প্রদর্শন হয়েছে ঝা়ডখণ্ডের বহু জায়গায়।