দীপাবলির রাতে অপরিচিত নম্বর থেকে হোয়াট্সঅ্য়াপে হুমকি কল ও মেসেজ পাওয়ার অভিযোগ। কোনও আম-নাগরিক নন, এই অভিযোগ করেছেন ঝাড়খণ্ডের জলসম্পদ মন্ত্রী মিথিলেশ কুমার ঠাকুর।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'আমার ধারণা, এটা বিরোধীদের একটা বিরাট চক্রান্ত। ষড়যন্ত্র করেই তারা এই কল করিয়েছে।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমি একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকে একের পর এক হোয়াট্সঅ্যাপ ভিডিয়ো কল পাচ্ছিলাম। আমি তার মধ্যে একটি কল রিসিভ করতেই, তাতে অশ্লীল ভিডিয়োর প্রদর্শন শুরু হয়ে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে কলটি কেটে দিই এবং ওই নম্বরটি ব্লক করে দিই।’
মন্ত্রীর দাবি, 'এই ঘটনার পর থেকেই আমার কাছে হুমকি আসতে শুরু করে। আমার মনে হচ্ছে, বিরোধীরা হতাশ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এইসব চক্রান্ত করছে। আমি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং তাদের অনুরোধ করেছি, তারা যাতে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে।'
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় এই প্রসঙ্গে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই হুমকি কলের মাধ্যমে মিথিলেশ কুমার ঠাকুরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও চাওয়া হয়!
এই ঘটনার পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলেও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন মিথিলেশ। তাতে বিরোধীদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাদের এই ধরনের 'নিম্ন রুচির' আচরণ না করার অনুরোধ করেছেন।
মন্ত্রীর বক্তব্য, 'মানুষ সব দেখছে। তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল এবং সঠিক সময় এলে মানুষই এর জবাব দেবে।'
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবার একইভাবে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন রাঁচির বিজেপি বিধায়ক সি পি সিং। এমনকী, সেই ঘটনার জেরে রাঁচির সাইবার পুলিশ থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি।
সেই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে। এবং প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, সংগঠিতভাবে এই ধরনের অপরাধ ঘটানো হচ্ছে। এই অপরাধীরা কেবলমাত্র ওই অঞ্চলের নামজাদা রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই নিশানা করে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ফাঁদ পেতে বসেছে।
প্রসঙ্গত, আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব শুরু হয়ে যাবে। রাজ্যের মোট ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দুই দফায়।
প্রথম দফার ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ১৩ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় ও শেষ দফার ভোটাভুটি হবে আগামী ২০ নভেম্বর। এর তিনদিন পর আগামী ২৩ নভেম্বর ভোটের ফল গণনা ও ঘোষণা করা হবে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী আবহে শাসক শিবিরের এক হেভিওয়েট নেতা ও মন্ত্রী অপরিচিত নম্বর থেকে কল ও মেসেজের মাধ্যমে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করায় তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়া এর কোনও প্রভাব পড়ে কিনা, এখন সেটাই দেখার।