বিশাল কান্ত
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি রঘুবর দাসকে ওড়িশার রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা নিয়ে দলের অন্দরে এবার মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলের একাংশ এখন মুখ খুলতে চাইছেন না। আবার অপর পক্ষ যথেষ্ট খুশি। আবার সেই সঙ্গেই দলের হাল কে ধরবেন তা নিয়েও কিছুটা সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এক ঢিলে অনেক পাখি মারল বিজেপি। তাঁকে রাজ্যপাল করে দিয়ে কার্যত ঝাড়খণ্ডে নেতৃত্ব নিয়ে ঝামেলায় ইতি টেনে দিল বিজেপি।
তিনি বৈশ্য সম্প্রদায়ভুক্ত। তিনি দলের ওবিসি মুখও ছিলেন। তবে রঘুবর দাসের প্রতি বরাবরই দলের আস্থা ছিল। ২০১৯এর বিধানসভা ভোটে ইউপিএ জোটের কাছে পরাজিত হয়েছিল বিজেপি। তারপরেও তিনি সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ পেয়েছিলেন।
ঝাড়খণ্ড বিজেপি একাধিক শিবিরে বিভক্ত। দুই শিবিরের একটির মাথায় আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি। তিনি বর্তমানে দলের রাজ্য সভাপতি। আবার অর্জুন মুন্ডা এখন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য। এক বিজেপি নেতার কথায়, ঝাড়খণ্ডে তিন নেতারই যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। মারান্ডিরও একটা বড় ভূমিকা ছিল। রঘুবরজীর হাতে দলের রাশ ছিল। তবে এবার নয়া নিয়োগ নিয়ে আবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নতুন করে ভাবতে হবে।
জামশেদপুর পূর্ব থেকে নির্বাচিত হতেন রঘুবর দাস। বিজেপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারও পেয়েছিলেন। প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি পুরো মেয়াদ পূর্ণ করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি চেয়ারে ছিলেন। আর তিনি প্রথম নন ট্রাইবাল মুখ্য়মন্ত্রী।
তবে ২০১৯ সালে বিজেপি ক্ষমতা হারায়। উঠে আসেন হেমন্ত সোরেন। এদিকে জামশেদপুর পশ্চিম থেকে তাঁরই একসময়ের সহকর্মী সূর্য রায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়েন। টিকিট না পেয়ে তিনি নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়েন।
এদিকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ জানান এটা বিজেপির ভেতরের ব্যাপার।
আর জেএমএম নেতা মিথিলেশ ঠাকুর জানিয়েছেন, তাঁর রাজনৈতিক জার্নিতে এবার ইতি পড়ল। তিনি রাজ্য়ের একমাত্র গ্রহণযোগ্য ওবিসি মুখ ছিলেন। কিন্তু এটা তাঁর পদোন্নতি নাকি অবনতি হল সেটা মাপতে গেলে আরও সময় লাগবে।