ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস শুক্রবার নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে গতকাল দেখা করেন। রাজ্যপালের কাছে শাসক শিবিরের বিধায়করা আবেদন করেন, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধানসভা সদস্যপদ নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে গোপন রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তা যাতে প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছে, অফিস অফ প্রফিট ইস্যুতে হেমন্ত সোরেনকে বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করেননি রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন চলছে। এই রিপোর্টের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল কী করেন, তার ওপরই পরের ঘটনাক্রম নির্ভর করবে ঝাড়খণ্ডে। এই আবহে রাজ্যপালের দিল্লি সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে নোটিশ পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নিজের নামে পাথর খাদানের ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে থাকাকালীন সেই পদের সুযোগে লাভবান হওয়া বেআইনি। এই প্রেক্ষিতে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই চাপে রয়েছেন হেমন্ত।
এর আগে বিজেপির তরফে হেমন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, তিনি তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নামে জমি বরাদ্দ করেছেন। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রঘুবর দাস আরও অভিযোগ করেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক প্রতিনিধি পঙ্কজ মিশ্র এবং তাঁর প্রেস উপদেষ্টা অভিষেক প্রসাদকে খনির ইজারা দিয়েছেন। রঘুবর দাস দাবি করেছেন যে সোহরাই লাইভ প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি কোম্পানিকে ১১ একর জমি বরাদ্দ করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। এই সংস্থা তাঁর স্ত্রীর নামে। রাঁচির বেহরাতে এই জমি দেওয়া হয় সংস্থাকে। এই সংস্থাকে মাংস প্রক্রিয়াকরণের জন্য এই জমি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। তবে পরবর্তীকালে মিশ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। এতে আরও চাপ বাড়ে হেমন্তের উপর। পরে মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রেমের বাড়িতে হানা দিয়ে দুটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।