সুতীর্থ পত্রনবিস
‘ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী’ হতে চাইছে উন্নয়নশীল দেশগুলি, ব্রিকস সম্মেলনে এমনটাই মন্তব্য করলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলির এই ‘প্রচেষ্টা’র প্রশংসাও করেন চিনা রাষ্ট্রপ্রধান। তবে এরই মধ্যে ভারতের নাম না নিয়ে ছোট ছোট ‘ব্লক’ তৈরির বিরোধ করেন জিনপিং। বুঝিয়ে দেন যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে তাঁর আপত্তির কথা।
বিশ্ব উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার সময় উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় জিনপিং বলেন, ‘কিছু কিছু দেশ উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করছে। এর জন্য তারা উঁচু বেড়া দিয়ে গণ্ডি এঁকে নিয়েছে। এতে বিভেদ ও সংঘাত তৈরি হচ্ছে।’ এদিকে চিনে ব্রিকস সম্মেলনে যোগদানের জন্য এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি ছাড়া আরও ১৩টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জিনপিং। আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, সেনেগাল, উজবেকিস্তান, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, ফিজি, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জিনপিং।
বক্তব্য পেশের সময় চিনা রাষ্ট্রপ্রধান আহ্বান করেন যাতে উন্নয়নের স্বার্থে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি পরিবেশ তৈরি হয়। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘কেউ যদি ছোট ব্লক তৈরি করে নিজেদের গণ্ডি ছোট করতে চায় তাহলে তারা নিজেরাই একা হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা আরোপ কারোর স্বার্থ পূরণ করে না। সরবরাহের শৃঙ্খলে বাধা সৃষ্টি করলে তা স্থিতিশীলতার পরিপন্থী।’ জিনপিং কোনও দেশের নাম না নিলেও তার নিশানায় যে আমেরিকা ও তার মিত্র রাষ্ট্র ছিল, তা স্পষ্ট। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতাও করেন জিনপিং।
জিনপিংয়ের কথায়, ‘উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলি ঐক্যের মাধ্যমে শক্তি খুঁজতে আরও সংকল্পবদ্ধ। বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিপ্লবের নতুন পর্ব শুরু হয়েছে এবং শিল্প খাতে পরিবর্তন সারা বিশ্বের দেশগুলির জন্য আরও বেশি সুযোগ নিয়ে আসছে।’ জিনপিং আশ্বাস দেন, স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডাকে ধারাবাহিক ভাবে সমর্থন দিতে থাকবে চিন। এরজন্য প্রয়োজনীয় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপও করবে তারা। জিনপিং বলেন, ‘বিশ্ব উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য চিন আরও সম্পদ বরাদ্দ করবে।’ তিনি ঘোষণা করেন এর জন্য আরও এক বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হবে। এর আগেই এই খাতে চিন ৩ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে রেখেছে।