উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। বুধবার বিজেপিতে যোগ দিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ। যোগদানের পর তিনি বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনের এটা নয়া অধ্যায়।’
তবে জিতিন যে দল পরিবর্তন করতে পারেন, তা একেবারেই অজানা ছিল না কংগ্রেসের কাছে। গত বছর কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে দলের সাংগঠনিক কাঠামো খোলনলচে পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে যে ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা চিঠি দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন জিতিন। তা সত্ত্বেও জিতিনকে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রেখেই ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন অধীর চৌধুরীরা। সেই ভোটে একটিও আসন না পাওয়ার এক মাস পরেই বিজেপিতে নাম লেখালেন জিতিন।
বুধবার বিজেপির সদর দফতরে পীযূষ গোয়েলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যোগদানের পর বলেন, 'গত তিন প্রজন্ম ধরে আমাদের পরিবার কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত আছে। কিন্তু গত আট থেকে ১০ বছর ধরে আমি অনুধাবন করতে পারছিলাম যে যদি কোনও জাতীয় দল থাকে, সেটা হল বিজেপি।'
রাজনৈতিক মহলের মতে, জিতিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বড়সড় ধাক্কা লাগল কংগ্রেসের। হাত শিবিরের দীর্ঘদিনের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি মূলত মধ্য উত্তরপ্রদেশে অত্যন্ত পরিচিত ব্রাহ্মণ মুখ তিনি। যে রাজ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ মতো ব্রাহ্মণ ভোট আছে। ফলে আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠতে পারতেন জিতিন। কিন্তু উলটে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের উচ্চবর্ণের ভোটব্যাঙ্কে আরও ধস নামবে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। যে ভোটব্যাঙ্কে ইতিমধ্যে আধিপত্য আছে রাজনৈতিক মহলের।