শুক্রবার ভারত-নেপাল যৌথ কমিশনের বৈঠকে উঠল না সীমান্ত বিবাদ প্রসঙ্গ। এ দিনই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে ২ দিনের ভারত সফরে এসেছেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি।
গিয়াওয়ালিই একমাত্র বিদেশি নেতা, একমাত্র যিনি গত একবছরের কোভিড অতিমারী পরিস্থিতিতে ভারত সফরে এলেন। আবার তিনিই একমাত্র নেপালি নেতা, যিনি গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সে দেশের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে তাড়াতাড়ি নির্বাচন আয়োজন করার পরে প্রথম নয়া দিল্লি সফরে এলেন।
তবে নেপালের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনার স্থান যে যৌথ কমিশনের বৈঠক নয়, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে সকলেই জানেন। জেনে রাখা ভালো, যৌথ কমিশনের বৈঠক ও সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।’
তাঁর ব্যাখ্যা, ‘যৌথ কমিশন আমাদের সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনার সুযোগ এনে দেয়। সেই সঙ্গে আমাদেরপারস্পরিক অভিনব বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠতর করার রাজনৈতিক পথনির্দেশ দেয়। বিভিন্ন আঙ্গিকে গঠনমূলকআলোচনায় আগ্রহী ভারত।’
শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক হয় গিয়াওয়ালির। এর পরে তাঁরা দুজনেই যৌথ কমিশনের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৭ সালের পরে এই নিয়ে ষষ্ঠ বার এই বৈঠক আয়োজিত হল।বৃহস্পতিবারও একাধিক বেসরকারি আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী।
গিয়াওয়ালির সঙ্গেই ভারত সফরে এসেছেন নেপালের বিদেশ সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব। ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালের ১১০ লাখ জনসংখ্যার একাংশকে কোভিড অতিমারীর বিরুদ্ধে সুরক্ষিত করতে ভারত ভ্যাক্সিন সরবরাহ করবে বলে আশা কাঠমান্ডুর। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেক সংস্থার থেকে কোভিড টিকার ডোজ কিনতে আগ্রহী নেপাল।
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ না কাটলে রফতানিযোগ্য ভ্যাক্সিনের পরিমাণ বোঝা যাবে না। তবে রফতানির ক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশগুলিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই বিষয়ে সচেতন আধিকারিকরা।