জম্মু ও কাশ্মীরে সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এখান সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের পথ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এই বছরের শেষের দিকে হিমাচলপ্রদেশ ও গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এমন পরিস্থিতিতে এই রাজ্যগুলির পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরেও নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি বলেছিলেন যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাশের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই। বিগত চারবছর ধরে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনে আছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি, তবে এখন রাজ্যে নির্বাচন না হওয়ার কোনও কারণ নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমানা নির্ধারণের পর বাধ্যতামূলকভাবে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। এই ছয় মাসের সময়কাল অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা। এই আবহে হিমাচলপ্রদেশ এবং গুজরাটের নির্বাচন কিছুটা এগিয়ে নিয়ে এসে তা জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে করানো যেতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সূত্রও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এখন আর কোনও বাধা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগস্টের আগে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা ছিল ১১১। এর মধ্যে লাদাখে ছিল ৪টি এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিল ২৪টি আসন। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে ছিল ৮৩টি আসন। তবে নয়া রাজনৈতিক মানচিত্রে এই সংখ্যার হেরফের হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাসের ফলে বিধানসভা আসন বেড়ে দাঁড়াল ৯০। নয়া খসড়া অনুযায়ী, জম্মুতে আসন সংখ্যা বেড়েছে ৬টি, কাশ্মীরে আসন বেড়েছে আগের তুলনায় মাত্র ১টি। নয়া বিন্যাস অনুযায়ী, জম্মুতে আসন ৪৩টি। কাশ্মীরের আসন দাঁড়াল ৪৭টি। এর মধ্যে তফসিলি জাতির জন্য ৭টি আসন, তফসিলি উপজাতির জন্য ৯টি আসন সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা এবার শূন্য। এদিকে পুনর্বিন্যাসের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভায় ৫টি আসন থাকবে।