দেশে যখন টিকাকরণ নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই, ঠিক সেই সময় দেশের সামনে মডেল হিসেবে উঠে এল কাশ্মীরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম। ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, বিদ্যুত নেই। এহেন ওয়াভেন গ্রামে ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বান্দিপোড়া থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে সব ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ১৮ ঊর্ধ্ব সকলকে টিকার অন্তত একটি করে টিকা দেওয়া হয়েছিল।
ওয়াভেন গ্রামে পৌঁছতে ১৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে হয়। কিন্তু এই কষ্ট মাথা পেতে নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন এই গ্রামে। সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্ধারিত নীতি মেনেই ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। যদিও গ্রামের অধিকাংশই টিকা নিতে আগ্রহী ছিলেন না বলে জানালেন গ্রামের প্রধান লাল ভাট।
বান্দিপোড়ার ব্লক মেডিক্যাল অফিসার ডঃ মাসরাত বলেন, আমরা অপেক্ষা করতে চাইনি। অপেক্ষা করতে হলে এই গ্রামে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন করতে অক্টোবর হয়ে যেত। তাই আগেভাগেই আমরা সেখানে পৌঁছে গিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের টিকা দিয়েছি। মোট ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর দল এই গ্রামের ৩৬২ জনকে টিকা দিয়েছেন।
এই ওয়াভেন মডেলকে সামনে রেখেই কাশ্মীরের আরও ছোট প্রত্যন্ত গর্ামে পৌঁছে টিকাকরণের ১০০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের রিকল্পনা করছে প্রশাসন। মোটের উপর জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে। ৪৫ ঊর্ধ্বদের ৭০ শতাংশকেই টিকা দেওয়া হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে।