কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের ছকে ঝাড়খণ্ডেও সরকার ফেলতে চাইছে বিজেপি? এমনই চাঞ্চল্যকর প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিল কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। জানা গিয়েছে সম্প্রতি রাঁচিতে তিন ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের থেকে বেআইনি নগদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এরপরই বিধায়ক কেনা বেচার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে শাসক জোট। জানা গিয়েছে ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে এখনও এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
জানা গিয়েছে রাঁচির কোতয়ালি থানায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই এফআইএর-এর একটি কপি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে সেই ধৃতদের থেকে ২ লক্ষ নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। এরপরই এই বিষয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।
ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রিন্সিপাল সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, 'হেমন্ত সোরেন তেনতৃত্বাধীন সরকারকে ক্রমেই অস্থিতিশীল করে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে মামলার বিশদ বিবরণ পুলিশ বলবে। তবে এই প্যাটার্ন আগেই দেখেছি বিজেপির থেকে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে তারা এই জিনিস চেষ্টা করেছে। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতারা বারংবার আওয়াজ তুলে দাবি করেছেন যে তাঁরা সরকার ফেলে দেবেন। তবে ঝআড়খণ্ড পুলিশ এবং বিশেষ বিভাগ এই ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।'
এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাসক জোটের তোলা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছে গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শহদেব বলেন, 'তাদের নিজেদের বিধায়করাই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে সরকারের বিরুদ্ধে। এই মামলা শুধুমাত্র সেই বিদ্রোহী বিধায়কদের বার্তা পাঠানোর জন্যে দায়ের করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্তের জন্যে সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।'