প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকে সমর্থন করার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, অনুপ্রবেশকারীরা সাঁওতাল পরগনা এবং কোলহান অঞ্চলের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরফলে জনসংখ্যায় বড়সড় পরিবর্তন হচ্ছে। উপজাতী জনসংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এনিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল জেএমএম। তাদের পাল্টা অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদী মিথ্যে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ভোটপ্রচারে নিজের প্রথম ১০০ দিনের কাজের ফিরিস্তি দিলেন মোদী
জেএমএমের পালটা অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, যে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট সাঁওতাল পরগনা বিভাগে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন তদন্ত করার জন্য একটি প্যানেল গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবিতেও আপত্তি জানিয়েছে জেএমএম। দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাঁর দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে হবে।’
রবিবার জামশেদপুরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঝাড়খণ্ডের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এর ফলে সাঁওতাল পরগনা এবং কোলহান অঞ্চলের জনসংখ্যার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আরও অভিযোগ তুলেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট অনুপ্রবেশকে সমর্থন করছে।
তিনি বলেছিলেন যে রাজ্য সরকার তোষণের রাজনীতি করছে। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে স্থানীয় মানুষরা সমস্যায় পড়ছেন। অনুপ্রবেশকারীরা পঞ্চায়েতগুলিতে জায়গা দখল করে নিচ্ছে, জমি দখল করছে, নৃশংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। রাজ্যের বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। প্রধানমন্ত্রী জেএমএম, আরজেডি এবং কংগ্রেসকে ঝাড়খণ্ডের মানুষের ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তারা ক্ষমতার লোভে ঝাড়খণ্ডের মানুষের ক্ষতি করছেন।