বিধানসভা নির্বাচনের দু'দিন আগে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে ঝাড়খণ্ডের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। তাতে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, নাগরিকদের অধিকার-সহ ৯টি ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। তবে প্রথম পর্বের প্রচারের একেবারে শেষ লগ্নে ইস্তেহার প্রকাশ করায় জেএমএমকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির এটিকে ‘প্রতারণা পত্র’ বলে কটাক্ষ করেছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে অস্বস্তিতে JMM, বিজেপিতে যোগ দিলেন হেমন্ত সোরেনের প্রস্তাবক মুর্মু
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ৮১ টি আসনে নির্বাচন হবে দুটি ধাপে। প্রথম দফার ভোট রয়েছে ১৩ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফার ভোট রয়েছে ২০ নভেম্বর। তার আগে গত সোমবার ইস্তাহার প্রকাশ করেছে জেএমএমের সুপ্রিমো শিবু সোরেন। দলের মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের ইস্তেহারে রাজ্যের সমস্ত সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও ৯টি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইস্তাহারে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের অধীনে এমএসএমই উদ্যোক্তাদের ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সমস্ত বিভাগে উন্নতমানের ক্রীড়া কেন্দ্র এবং একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ঋণ মুকুব করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, শূন্য শতাংশ সুদের হারে কৃষি ঋণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জেএমএম এমজিএনআরইজিএ কর্মীদের প্রতিদিন ন্যূনতম ৩৫০ টাকা করে মজুরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইস্তাহারে ১০০টি নার্সিং কলেজ তৈরির পাশাপাশি ব্লক স্তরে ৫০০টি সিএম স্কুল অফ এক্সিলেন্স এবং পঞ্চায়েত স্তরে ৪৫০০টি মডেল স্কুল তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তবে একেবারে শেষ লগ্নে ইস্তেহারে প্রকাশ করায় শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের কটাক্ষ, ইস্তেহার প্রকাশের পরিবর্তে শাসক দলের দুর্নীতি করার নতুন উপায় নিয়ে একটি বই চালু করা উচিত। তারা শেষ মুহূর্তে একটি ইস্তেহার প্রকাশ করেছে এটা হল আসলে প্রতারণা পত্র।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা ২.৬ কোটি। তাঁদের মধ্যে ১.৩১ কোটি পুরুষ ভোটার এবং ১.২৯ কোটি মহিলা ভোটার রয়েছেন।২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে জেএমএম ৩০টি আসন পেয়েছিল। বিজেপি ২৫টি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ২৫টি আসন জিতেছিল।