২০১৯ সালের থেকেও বেশি আসনে জিতে ২০২৪ সালে ঝাড়খণ্ডের গদিতে বসছে জেএমএম, কংগ্রেস, আরজেডির জোট। এর মাঝে অবশ্য দীর্ঘ কয়েক মাস জেলে ছিলেন হেমন্ত সোরেন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল জেএমএম-কংগ্রেস জোট। তবে ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ধরাশায়ী করলেন হেমন্ত। কিন্তু কোন সমীকরণে তা সম্ভব হল? (আরও পড়ুন: RSS-এর 'জাদুকাঠিতে' ঘুরে দাঁড়াল BJP? ফল সামনে আসতেই জোর চর্চা মহারাষ্ট্রে)
আরও পড়ুন: বাংলায় মমতার গদি বাঁচিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর, বিহারে সেই PK-র দল কেমন ফল করল?
আরও পড়ুন: বাংলায় ধরাশায়ী, অন্য রাজ্যগুলিতে মুখরক্ষা বামেদের, কোথায় উড়ল লাল ঝান্ডা?
৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ৪১টি আসন। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের ঝুলিতে গিয়েছে ৫৬টি আসন। এর মধ্যে জেএমএম পেয়েছে ৩৪টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ১৬টি আসন, আরজেডি পেয়েছে ৪টি আসন এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন পেয়েছে ২টি আসন। (আরও পড়ুন: চারে BJP, বিধানসভা উপনির্বাচনে TMC হারলেও অভিনন্দন জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়)
আরও পড়ুন: শিন্ডেই হবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী? 'স্পষ্ট বার্তা' দিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস
উল্লেখ্য, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ সহ দুর্নীতি এবারের ভোটে একটি বড় ইস্যু ছিল ঝাড়খণ্ডে। এরই মধ্যে আবার আদিবাসীদের মধ্যে অভিন্ন দেওয়ান বিধি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। যদিও বিজেপি দাবি করেছে, আদিবাসীদের ইউসিসি থেকে আলাদা রাখা হবে। তবে বিজেপির এই সব প্রচার যে কাজে দেয়নি, তা স্পষ্ট। গতবারের তুলনায় এবার ঝাড়খণ্ডে আরও আসন সংখ্যা কমেছে পদ্ম শিবিরের। এদিকে ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় একতরফাভাবে হেমন্ত সোরেনই জয়ী হচ্ছেন। সংরক্ষণের মতো ইস্যুতে বিজেপিকে কোণঠাসা করছিলেন হেমন্ত সোরেন। আদিবাসীদের সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করলেও রাজ্যপাল তাতে অনুমোদন দেননি। সেই ইস্যুকেই বারবার তুলে ধরেছিলেন হেমন্ত সোরেন। এদিকে ঝাড়খণ্ডে কুড়মি ভোট পেতে আজুকে সঙ্গে নিয়েছিল বিজেপি। তবে সেই সমীকরণে কুড়মি ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে পারেনি পদ্ম শিবির। এদিকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির বড় নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন। (আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে হেমন্তের কাছে ফেল হিমন্ত, অসমের উপনির্বাচনে কেমন ফল BJP-র?)
আরও পড়ুন: বাংলা-ঝাড়খণ্ডে এই 'ফর্মুলায়'মেলেনি অঙ্ক, দিল্লিতেও কি সেই ছকেই সমীকরণ কষবে BJP?
এদিকে গতবারের তুলনায় এবার ঝাড়খণ্ডে ভোটের হার বেড়েছে। প্রায় ৪ শতাংশ ভোট বেড়েছে। সাধারণত, ভোটের শতাংশ বাড়লে তা সরকারের বিরুদ্ধে রায় বলেই বিবেচনা করা হয়। অবশ্য ভোট সমীকরণ বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ৬৮টি আসনে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন। এই আবহে দেখা গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে রাজ্যের মহিলাদের জন্য হেমন্ত যে ‘মাইয়া সম্মান যোজনা’ শুরু করেছিলেন, তা কাজে দিয়েছে তাঁর গদি বাঁচাতে। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে জমা পড়ত আগে। তবে ভোটের আগেই হেমন্ত সোরেন সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করে দেন। আর সেই পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে যেন 'ম্যাজিক' দেখা গিয়েছে ভোটবাক্সে।