বছর আড়াই আগে দেখিয়েছিলেন বিক্ষোভ। সেই ঘটনায় ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ-সহ একাধিক পড়ুয়াকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঐশীদের সেই বিক্ষোভকে ‘শৃঙ্খলাহীনতা’-র জলন্ত উদাহরণ হিসেবে নোটিশে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ জুন ঐশীর নামে সেই নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, পড়ুয়ারা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তা ‘বিপজ্জনক’। তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন বিঘ্নিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠকে ‘বিশৃঙ্খলা’ তৈরি করেছিলেন ঐশী। সেই পরিস্থিতিতে কেন ঐশীদের বিরুদ্ধে কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশীকে ২১ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সেই সময়ের মধ্যে জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে যে নিজের স্বপক্ষে আপনার কিছু বলার নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে।’
কিন্তু প্রায় তিন বছর আগের বিক্ষোভের জন্য এখন কেন শো-কজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে?বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রক্টর রজনীশ কুমার মিশ্র বলেন, ‘ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওঁরা (পড়ুয়ারা) দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ চালিয়েছিলেন। তারপর মাঝেমাঝে ঝামেলা হয়েছে। ২০২০ সালে মহামারী শুরু হল। তাই আমরা এখন (শো-কজের) প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
সেই শো-কজ নোটিশের প্রেক্ষিতে ফেসবুকে ঐশীর অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক প্রশাসনিক অফিস বন্ধ আছে। স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে না। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেল বণ্টন করা হচ্ছে না। জল সংকট তৈরি হয়েছে। পড়ুয়াদের টিকাকরণ হচ্ছে না। কিন্তু পড়ুয়াদের ভয় দেখাতে এবং শাস্তি দিতে প্রধান প্রক্টরের কার্যালয় নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে ঐশী যোগ করেন, হাজার-হাজার পড়ুয়া ক্যাম্পাসে সমস্যার মুখে পড়ছেন। অনেকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সেই পরিস্থিতিতেও পড়ুয়া-বিরোধী নীতি অব্যাহত রেখেছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ।