দিল্লির শাহিন বাগ বিক্ষোভের মূল উদ্যোক্তা শারজিল ইমামকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করল পুলিশ। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময় আলিয়ায় গিয়ে বিদ্বষপূর্ণ বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শারজিলের বিরুদ্ধে। অসম সহ উত্তর পূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়েছিলেন তিনি।এদিন বিহারের জেহানাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁকে খুজছে পুলিশ। ছটি রাজ্যে শারজিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। বর্তমানে জেএনইউ-এর সেন্টার ফর হিসটোরিকাল স্টাডিজের ছাত্র শারজিল। শারজিলের বাড়ি জেহানাবাদে। সেখানে গিয়েছেন জেএনইউ-এর ছাত্র শারজিল, এই খবর পেয়ে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও বিহার পুলিশের যৌথ দল তল্লাশি করে। এর আগে তার ভাই মুজাম্মিল ইমামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শারজিলকে কে গ্রেফতার করবে এই নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে দিল্লি ও জেহানাবাদ পুলিশের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বিহার পুলিশ।
জেহানাবাদের পুলিশ সুপার জানান যে শারজিলের পৈতৃক বাড়িতে রবিবার রাতে হানা দেয় পুলিশ। ইমামকে না পাওয়া গেলেও তাঁর আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে ছেড়েও দেয়।
তাঁর মা আগসান রহিমের দাবি যে ছেলে নির্দোষ ও তাঁর বক্তব্যের ভুল মানে করা হচ্ছে। শারজিলের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ আগে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আগসান। সে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে অত্যন্ত বিচলিত ছিল বলে তিনি জানান।
শারজিলের কাকা বলেন যে তাঁরা সংবিধান ও আইনকে সম্মান করেন, কিন্তু জেএনইউ ছাত্রর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
একসময় শিক্ষকতা করতেন শারজিল। তারপর তিনি সফটওয়্যার সংস্থায় কাজ করেন। এরপর ২০১৭ সালে জেএনইয়ে পিএচডিতে ভর্তি হন তিনি।
শারজিলের বাবা ২০১৫ সালে জেডিইউ-র টিকিটে নির্বাচন লড়েছিলেন। সে বছরই মারা যান তিনি।