‘জেএনইউ নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে।’ বুধবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সন্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত এমনটাই বললেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে উপাচার্য বলেন, ‘আমি জনসাধারণের ধারণাকে সংশোধন করতে চাই যে আমরা টুকডে-টুকডে গ্যাঙ... আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমি কাউকে এমন কথা বলতে দেখিনি। অন্য সবারই মতো আমরাও জাতীয়তাবাদী।’ উল্লেখ্য, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমীতে মাংস খাওয়া ঘিরে কাবেরী হোস্টেলে হিংসাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই প্রেক্ষিতে বলতে গিয়েই এমনটা বলেন জেএনইউ-র উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ‘জেএনইউ একটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা সব ব্যক্তিদের পছন্দকে সম্মান করি। এটি সমস্ত পরিচয়ের একটি গলে যাওয়া পাত্র। তরুণদের মতামত আছে এবং আমরা বৈচিত্র্য এবং ভিন্নমতের প্রশংসা করি কিন্তু সহিংসতা হতে পারে না। 'রাম নবমী হবন (যজ্ঞ)' করা উচিত কি না এবং খাবারের মেনু কি থাকা উচিত, সেই বিষয়ে নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এই দুই পক্ষের দুটি ভিন্ন সংস্করণ এই ঘটনার। প্রক্টরিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আমরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এটি একটি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।’
এদিকে ক্যাম্পাসে অশান্তির ঘটনায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) প্রশাসনের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। এদিকে দিল্লি পুলিশ সোমবার ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার অধীনে ঘটনার বিষয়ে দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। গোটা ঘটনায় এবিভিপি কর্মীদের বিরুদ্ধে আমিষ খাবার খেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বামপন্থী ছাত্ররা। এদিকে এবিভিপির তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে যে হোস্টেলে পূজা করতে বাধা দিয়েছে বামপন্থী পড়ুয়ারা। এই আবহে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই। এবিভিপির বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। মেস সেক্রেটারিকেও এবিভিপি কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হন।