সচিন সাইনি
গতরাতে ধর্মীয় পতাকা লাগানো নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল রাজস্থানের যোধপুরে। এরপর আজ সকালেও হিংসার সাক্ষী থাকল যোধপুর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে জালোরি গেটের কাছে ইদগাহে নামাজ আদায়ের পর ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, সকালে আবারও জালোরি গেটে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে কিছু যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। গেহলট বলেন, এই ঘটনা 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক'। উল্লেখ্য, যোধপুর মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের নিজের জায়গা। ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে রাজস্থানের মন্ত্রীদের একটি দলও গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সকালের হিংসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে। শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বাণিজ্যিক এলাকা জালোরি গেটে ইদের আগে একটি সম্প্রদায়ের কিছু লোক ধর্মীয় পতাকা লাগানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। সেই সময় অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা আপত্তি তোলে, যার ফলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং সংঘর্ষ হয়।
দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়লে উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হয়। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করে। পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু পরে দুই সম্প্রদায়েরই লোকজন আবার সেখানে জড়ো হয়ে পাথর ছুড়তে থাকে একে অপরকে লক্ষ্য করে। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ব্যবহার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চার পুলিশসহ অনেকে জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।