রিপাবলিকান নেতা তথা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার পরেই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। পরে সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনেও কথা হল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সিএনএন-এর রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এদিকে পেনসিলভেনিয়া প্রদেশের গভর্নর জশ শ্যাপিরোর সঙ্গেও ফোনে কথা হয় বাইডেনের। পরে বাটলার শহরের মেয়র বব ড্যান্ডয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে বাইডেন নিজে এখন ডেলাওয়ারে আছেন। আজ তিনি ওয়াশিংটন ডিসি-তে ফিরবেন। সেখানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং এফবিআই এই ঘটনার যাবতীয় আপডেট দেবে তাঁকে। (আরও পড়ুন: রাজভবনেই কর্মীর সঙ্গে জঘন্য কাজ রাজ্যপালের ছেলের? গ্রেফতারির দাবি বিরোধীদের)
আরও পড়ুন: ৪৬ বছর পর খুলে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার, কী আছে সেই কোষাগারে?
এর আগে ট্রাম্পের ওপরে হামলার ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট লিখেছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, 'পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চলার ঘটনার খবরটি শুনেছি। ট্রাম্প আপাতত নিরাপদে আছেন এবং ভালো আছেন। আমি এটা শুনে নিশ্চিন্ত হয়েছি।' বাইডেন সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় আরও লেখেন, ট্রাম্প, এবং তাঁর পরিবার এবং সমাবেশে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি। ঠিক কী ঘটেছে, সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি। ট্রাম্পকে নিরাপদে সেখান থেকে বের করে আনায় সিক্রেট সার্ভিসের ওপর জিল এবং আমি কৃতজ্ঞ। আমেরিকায় এ ধরনের হিংসার কোনও ঠাঁই নেই। এ ধরনের ঘটনার নিন্দা করার ক্ষেত্রে আমাদের একজোট থাকতে হবে।' এদিকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'আমাদের গণতন্ত্রে রাজনৈতিক হিংসার কোনও জায়গা নেই।' (আরও পড়ুন: সোমে রাজ্য সরকারি কর্মীরা পেতে পারেন ডিএ-বেতন নিয়ে বড় সুখবর, সামনে নয়া আপডেট)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে ২৩৯ শতাংশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী, বকেয়া মিলবে কবে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরে হামলার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মার্কিন ব্যবসায়ী তথা রিপবলিকান নেতা জেডি ভান্স। সম্ভবত, ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন ভান্স। বর্তমানে তিনি ওহায়ো প্রদেশের থেকে নির্বাচিত সেনেটর। এহেন ভান্স অভিযোগ করলেন, বাইডেন যেভাবে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন, তার জন্যেই আজকের এই ঘটনা। তিনি দাবি করেন, 'বাইডেনের ক্যাম্পেন প্রতিপন্ন করেছে যে ট্রাম্প একজন ফ্যাসিস্ট নেতা। তাঁকে যেকরেই হোক থামাতে হবে'। ভান্সের যুক্তি, বাইডেনের দলের এহেন প্রচারই ট্রাম্পের জন্য কাল হয়েছে। এদিকে আরেক 'ট্রাম্প-পন্থী' ধনকুবের ইলন মাস্ক এই ঘটনার পরে সিক্রেট সার্ভিসের শীর্ষ আধিকারিকদের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। এই হামলা মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের ব্যর্থতার কারণে হয়েছে বলে দাবি করেন মাস্ক।