শুক্রবার আমেরিকান কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল হিলের কাছে গাড়ি পুলিশকে পিষে দিল। আর আহত হয়েছেন তাঁর আর এক সহকর্মী। ওয়াশিংটন কমপ্লেক্সের মধ্যে এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনার সময়ে গুলিও ছোড়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার পরে ক্যাপিটল বন্ধ করে দেয় ন্যাশনাল গার্ডস। ট্রাম্পের সময়ও ক্যাপিটল হিলের উপর আক্রমণ নেমে এসেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি নীল রঙের গাড়ি তীব্র গতির সঙ্গে এসে ক্যাপিটলের কাছে দুই পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারে। তার পরে ধাক্কা মারে ব্যারিকেডে। তারপর গাড়ির চালক ছুরি হাতে গাড়ি থেকে বেরোতেই তাকে গুলি করা হয়। তাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ক্যাপিটল পুলিশের অ্যাক্টিং চিফ যোগানন্দ পিটম্যান। আর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান আহত পুলিশকর্মী।
এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এই আক্রমণকারীকে চিহ্নিত করে ফেলেছে মার্কিন পুলিশ। তার নাম–নোয়া গ্রীণ। ২৫ বছরের এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবকমৌলবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে কি উদ্দেশ্যে সে এই আক্রমণ করেছিল তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান রবার্ট কনটি বলেন, ‘এই ঘটনা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত না হলেও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।’
জানা গিয়েছে, গাড়িটি ক্যাপিটলের বাইরে ব্যারিকেডে ধাক্কা দেওয়ার আগেই সেখানে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল পুলিশ। যাঁরা ভবনের ভেতরে ছিলেন তাঁদের জানালার কাছ থেকে দূরে যেতে বলা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ইস্টারের ছুটির ফলে ভবনে অনেক কম লোক উপস্থিত ছিলেন। ফলে ঝুঁকিও ছিল কম। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাম্প ডেভিডে যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘটনার তদন্তে ক্যাপিটল পুলিশকে সাহায্য করছে এফবিআই।