কয়েকদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে কথা জড়িয়ে গিয়েছিল। সেই সময় জো বাইডেনের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আর এবার ফের অসংলগ্ন কথা বলে নিজেই নিজের ওপর প্রশ্ন তুলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই আবহে আদৌ তিনি আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কি না, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা, বিতর্ক শুরু হয়ে গেল তাঁর দলের মধ্যেই। রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ইন্টারভিউতে বাইডেন বলেন, 'আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা আমিই।' খুব সম্ভবত তিনি ওবামা জমানায় তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার কথাটির সঙ্গে কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়াকে গুলিয়ে এই ভুলটি করেছিলেন। (আরও পড়ুন: নয়া ইতিহাস ব্রিটিশ সংসদে, এবার হাউজ অফ কমনে যাচ্ছেন কতজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত?)
আরও পড়ুন: হার কট্টরপন্থার, ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪০ লাখ ভোটে জয়ী সংস্কারপন্থী মাসুদ
এর আগে আগে সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী বিতর্কে 'ডাহা ফেল' করেছিলেন জো বাইডেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বারবার কথা জড়িয়েছিল বর্তমান প্রেসিডেন্টের। এই আবহে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পরবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর জন্যে দাবি জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদেরই অনেকে। তবে বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি পুননির্বাচনে দাঁড়াবেন। এবং তিনি আশাবাদী যে তিনিই এই ভোটে জিতবেন। এদিকে বিতর্কের বিপর্যয়ের পরে বাইডেনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন কমলা। এদিকে তাঁর ভাবমূর্তির ওপর যে দাগ লেগেছে, তা মুছতে আগামী কয়েকদিনকে কাজে লাগাতে হবে বাইডেনের। আগামী কয়েকদিনে একটি টিভি ইন্টারভিউ এবং দু'টি জনসভা আছে তাঁর। এখান থেকেই তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। (আরও পড়ুন: হাথরসে ভক্তদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন 'ভোলে বাবা', বললেন...)
আরও পড়ুন: সংগঠনে বড়সড় রদবদল বিজেপির, তবে দায়িত্ব থেকে 'ব্রাত্য' বাংলা ও বাঙালি!
এদিকে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বাইডেনের সহযোগীরা বলেছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভালো ভাবে কাজ করতে পারেন বাইডেন। তারপরই তিনি একটু দুর্বল বোধ করেন এবং তাঁর কথা জড়িয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বয়সের চাপে ঝুঁকে পড়া বাইডেনকে নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ঠাট্টা তামাশা হচ্ছে। ট্রাম্পও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তোপ দেগেছেন বারংবার। আর ডিবেটে বাইডেনের খারাপ পারফর্ম্যান্সের পরে দলের মধ্যেই তাঁকে সরানোর বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনের মাত্র কিছু মাস আগে এই বদল আনা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে বাইডেনের কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক ডেমোক্র্যাটই।