চারবছর আগে তিনিই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এবারও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়তে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে কয়েকদিন আগে পর্যন্ত লড়াই করার ক্ষেত্রে অনড় ছিলেন বাইডেন। তবে কেন সিদ্ধান্ত বদল করলেন এবার? প্রেসিডেন্ট প্রার্থীপদ ত্যাগ করা নিয়ে এবার দেশবাসীকে নিজের ব্যাখ্যা দিলেন বাইডেন। দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলেন, তিনি নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চান। তাঁর কথায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করতে নবপ্রজন্মকে এগিয়ে আনতে হবে। (আরও পড়ুন: মমতার 'আশ্রয়' মন্তব্যের আবহে এপারে কতজন বাংলাদেশি? পরিসংখ্যান দিল BSF)
আরও পড়ুন: মিলল মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি, বাংলাদেশের পিচে চিনকে 'আউট' করল ভারত
বাইডেন বলেন, 'আমি আমার কাজকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি তার চেয়েও বেশি ভালবাসি আমার দেশকে। আপনাদের প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা গণতন্ত্রকে রক্ষা করা যে কোনও খেতাবের চেয়ে বেশি জরুরি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, নতুন প্রজন্মের হাতে আগামীর মশাল তুলে দেব। এটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় কঠিন পরিস্থিতিতে আমার দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি যা কাজ করেছি, তা আমার দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে যথেষ্ঠ। তবে গণতন্ত্র বাঁচানোর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছুই হতে পারে না।'
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই জো বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকে যে ডেমোক্র্যাটরাই তাঁকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যেতে অনুরোধ করছিল। এহেন পরিস্থিতিতে অবশেষে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বাইডেন। আর সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে সমর্থন জানিয়েছেন নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে। এর আগে একের পর এক অনুষ্ঠানে মুখ ফসকেছে বাইডেনের। তবুও তিনি নির্বাচনে লড়াই করার বিষয়ে অনড়। তবে কখনও তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মলা হ্যারিসকে 'ট্রাম্প' বলে সম্বোধন করছেন। আর সম্প্রতি তো ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে 'পুতিন' বলে ডেকে বসেন তিনি। এদিকে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইডেনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, নিজের স্ত্রী ভেবে তিনি অন্য একজন মহিলাকে চুম্বন করতে গিয়েছিলেন। পরে জিল বাইডেন এসে তাঁকে আটকান। এই সবের মাঝে আবার কোভিড আক্রান্ত হন তিনি। আর অবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তিনি পুনর্নিবাচনের জন্যে লড়বেন না।