জেদ্দায় সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমানের সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার বৈঠকের আগে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ‘ফিস্ট পাম্প’ করেছিলেন জো বাইডেন। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকের পরে বাইডেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি সলমানকে বলেছেন যে সাংবাদিক খাসোগির মৃত্যুর জন্য সৌদি যুবরাজকেই দায়ী করেন তিনি।
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি বৈঠকের শুরুতেই নিজেকে স্পষ্ট করে দিই। ঘটনার সময় আমি কী ভাবতাম এবং এখন কী ভাবি, পুরোটাই স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছি আমি তাঁর সামনে। আমি সোজাসুজি তাঁকে বলেছি যে মানবাধিকার ইস্যুতে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টই চুপ থাকবে না। আমি নীতির জন্য সব সময়ই সোজা হয়ে দাঁড়াব।’ তিনি সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে মানবাধিকারের বিষয়ে কথা হয়েছে দু’জনের এবং রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন বাইডেন।
এদিন বাইডেন বলেন, ‘আমি তাঁকে বুঝিয়ে দিই যে আমি মনে করি যে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন। যদিও তিনি দাবি করেন ব্যক্তিগত ভাবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। এবং তিনি জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ বাইডেন বলেন, এর আগে, ২০১৮ সালে খাসোগি হত্যাকাণ্ড ঘিরে সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে দুদেশের মধ্যে। তবে বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক হচ্ছে বলে ইঙ্গিত করেন জো বাইডেন।
২০১৮ সালে ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সাংবাদিক জামাল খাসোগি খুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র সমালোচিত হন সৌদি রাজকুমার মহম্মদ বিন সলমন। হত্যায় যে সৌদি নাগরিকরা জড়িত, তারা সকলেই তাঁর অধীনস্থ কর্মচারী বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়ে দেয় সৌদি সরকার।