২০২০ সালে তিনি যখন জিতেছিলেন, তখন ক্ষমতা হস্তান্তরে অনেক 'ব্যাঘাত' ঘটিয়েছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিহাস ছুঁয়ে ফের পা রাখতে চলেছেন হোয়াইট হাউজে। অপরিকে গতবারের বিজয়ী জো বাইডেনকে তাঁরই দলের একাংশ চাপ দিয়ে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। বাইডেনের পরীবর্তে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়া কমলা হ্যারিস অবশ্য বিপুল ব্যবধানে হেরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। এই আবহে নির্বাচনের পরে প্রথমবার বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বাইডেন বললেন, 'শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে ডেমোক্র্যাটরা।' পাশাপাশি নির্বাচনের ফল নিয়ে তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছা সবসময়ই প্রাধান্য পায়।' (আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে বাহিনীর হামলার অভিযোগ,বাংলাদেশকে কড়া বার্তা ভারতের)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জয়ে প্রমাণিত রাজনীতিতে বয়স কোনও বিষয় নয়, বললেন কল্যাণ; অভিষেকের জবাব…
এদিকে ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান বাইডেন। তিনি বলেন, 'গতকাল আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছি যে, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। এর জন্যে আমি আমার পুরো প্রশাসনকে তাঁর টিমের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেব। এটাই আমেরিকার জনগণের প্রাপ্য। গতকাল আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি একজন জনসেবক। তিনি তার পুরো হৃদয় দিয়ে প্রচেষ্টা করেছিলেন। তিনি এবং তাঁর পুরো দলের গর্বিত হওয়া উচিত। দেশ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা মেনে নিয়েছি।'
এদিকে জো বাইডেন আরও বলেন, মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থা সৎ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ। তাঁর কথায়, 'আমি আশা করি আমরা আমেরিকানরা এবার নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্নের অবসান ঘটাব। এটা সৎ, এটা ন্যায্য এবং এটা স্বচ্ছ। জয় বা পরাজয়... এটার ওপর বিশ্বাস রাখা যায়। ২০ জানুয়ারি আমেরিকায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। আমাদের সব কর্মী, সমর্থক, মন্ত্রিসভার সদস্য, গত চার বছর ধরে যারা আমার সঙ্গে থেকেছেন, তাদের বলছি... এটি একটি ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্সি ছিল।'
এদিকে এর আগে নিজের হার স্বীকার করে নিয়ে কমলা হ্যারিস বলেছিলেন, 'নির্বাচনের ফলাফলকে সম্মান করাই গণতন্ত্রকে রাজতন্ত্র বা স্বৈরশাসন থেকে পৃথক করে। আজ সকালে আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি তাঁকে এটাও বলেছি যে, আমরা তাঁকে ও তাঁর দলকে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহায়তা করব এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে অংশ নেব।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা যা চেয়েছিলাম, এই নির্বাচনের ফলাফল তা হয়নি। তবে যতক্ষণ না আমরা হাল ছেড়ে দেব, যতক্ষণ আমরা লড়াই চালিয়ে যাব... ততক্ষণ আমেরিকার প্রতিশ্রুতির আলো উজ্জ্বল থাকবে। কখনও কখনও লড়াইয়ে কিছুটা সময় লাগে। তার মানে এই নয় যে আমরা জিতব না।' উল্লেখ্য, নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জো বাইডেন। এই আবহে হাতে খুবই অল্প সময় নিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন কমলা। তবে প্রাথমিক ভাবে জনমত সমীক্ষার ফলাফল কমলার জন্যে বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল। যদিও আসল নির্বাচনে ফল উলটে যায়।