যশবন্ত রাজ
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির উপর আরও জোর দিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উল্লেখ্য, সেপ্টম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই আবহে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ রাখার সময় বাইডেন জানান, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে NATO-র পর্যায়ে বাহিনী মোতায়েন থাকবে এই অঞ্চলে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ১০০ দিন পার করেছেন বাইডেন। সেই উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথমবার ভাষণ দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এদিন তিনি আমেরিকার ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে বলেন, 'আমি বর্তমান সংকট এবং সুযোগ সম্পর্কে কথা বলতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র আবার এগিয়ে যাচ্ছে। সংকটকে সুযোগ ও সম্ভাবনায় পরিণত করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন উড়তে প্রস্তুত।'
মূলত অতিমারী, অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি, বন্দুক অধিকার সংস্কার, অভিবাসন নীতি, শিশু দারিদ্র্য বিমোচন, ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১৫ ডলার করা, মহিলাদের সম বেতনের উপর ফোকাস করার কথা জানান বাইডেন।
এছাড়াও বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের বিদেশ নীতি নিয়ে এদিন বক্তব্য পেশ করেন বাইডেন। চিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাইডেন বলেন, 'আমি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছি। বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ধত রাষ্ট্র হয়ে উঠতে চাইছেন জিনপিং। চিনা প্রেসিডেন্ট ভাবেন, গণতন্ত্র স্বৈরশাসনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না।' বাইডেন আরও জানান যে শি জিনপিংকে তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন, 'আমরা ইউরোপে NATO-র অধীনে যেভাবে সামরিক বাহিনী মোতায়েন রেখেছি, ঠিক তেমন ভাবেই ইন্দো-প্যাসিফিকেও সামরিক উপস্থিতি বাড়াব আমরা। তবে এটা সংঘর্ষের লক্ষ্যে করা হবে না, বরং এটা শান্তি বজায় রাখাল লক্ষ্যে করা হবে।' তবে ইন্দো-প্যাসিফিকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো নিয়ে তাত্ক্ষণিক ভাবে কোনও তথ্য মেলেনি আফ্রিকান এবং সেন্ট্রাল কমান্ডের তরফে।