জো বাইডেন নির্বাচনে জয়ী হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, একসঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজের অপেক্ষায় রয়েছি। এবার নিজের ভারত যোগের কথা বলে যেন সম্মতি জানালেন জো বাইডেন। এমনকী শোনা গেল, কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পূর্বপুরুষ।
হবু প্রেসিডেন্ট নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের শিকড় রয়েছে ভারতের মাটিতে। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে ভারতে থাকা কয়েকজন বাইডেন পদবীর মানুষের কথা। আশ্চর্য লাগলেও আজ এটাই বাস্তব। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলের প্রাক্তন এক প্রধানশিক্ষকের নামও উঠে এসেছে। উঠে এসেছে মুম্বই এবং চেন্নাইয়ে বসবাস করা বাইডেনদের কথাও। তবে তাঁর এই ভারত যোগের সূত্রপাত পাঁচ দশক আগে। যা এখন প্রকট হল।
কিভাবে রয়েছে সেই যোগসূত্র? জানা গিয়েছে, ১৯৭২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে আমেরিকার সর্বকনিষ্ঠ সেনেটর হিসাবে নির্বাচিত হন জো বাইডেন। যিনি আজকে আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। সেদিন সেনেটর নির্বাচিত হওয়ার পর শুভেচ্ছা জানিয়ে যে প্রথম ক’টি চিঠি তাঁর কাছে পৌঁছেছিল, তার একটি পাঠিয়েছিলেন অন্য এক বাইডেন। তবে মুম্বই থেকে। আমেরিকায় ভারতীয় বংশদ্ভূতদের এক সভায় তিনি তাঁর ভারত-যোগের কথা আর একটু বিস্তৃত ভাবে ব্যাখ্যা করে জানান, পূর্বপুরুষ জর্জ বাইডেন ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জাহাজের ক্যাপ্টেন।
প্রাক্তন কূটনীতিবিদ এবং বর্তমানে লন্ডনের কিংস কলেজের অতিথি অধ্যাপক টিম উইলসি একটি পত্রিকায় লিখেছেন, ‘জর্জ নয়। তাঁর দাদা ক্রিস্টোফার ভারতে থেকে গিয়েছিলেন এমন তথ্য পাওয়া যায়।’
তিনি লিখেছেন, ‘ক্রিস্টোফার দীর্ঘদিন নাবিক হিসাবে কাজ করার পর ১৮৩৯ সালে লন্ডন থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন। জীবনের শেষ ১৯ বছর তিনি চেন্নাইতে কাটান।’ টিমের দাবি, ক্রিষ্টোফারের ছেলে হোরাসিও কোম্পানির মাদ্রাস রেজিমেন্টে সেনা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন এমন তথ্যও পাওয়া যায়।
‘ফ্যামিলিজ ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’–র ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হোরাসিও কলকাতাতেও এসেছিলেন। এবং তার পরবর্তী সময়ে কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষকের পদবিও বাইডেন পাওয়া যায় বলে দাবি টিমের।
জো নিজেও এক সময়ে যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন মুম্বই থেকে চিঠি পাঠানো সেই বাইডেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পাঁচ বছর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ের বাইডেন পরিবারের যোগাযোগের নম্বরও তিনি পেয়েছেন। তিনি তাঁদের ফোন করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তবে তারপর তিনি আদৌ যোগাযোগ করেছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।