একজন ছেড়ে যাবেন, অপরজন আসবেন। সেই আবহেই বুধবার হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ হল বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আর প্রথা মেনে (ট্রাম্প অবশ্য সেই পথে হাঁটেননি) সেই সাক্ষাতের সময় বাইডেনের মুখে যে চওড়া হাসি দেখা গেল, তা নিয়ে রসিকতা শুরু করলেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের সময় যেভাবে বাইডেনের মুখে হাসি দেখা গেল, তাতে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন, তা নিয়ে কি আরও সন্দেহের অবকাশ আছে?
বাইডেনের হাসি থেকে জিলের পোশাকের রং- রসিকতা নেটপাড়ার
তেমনই এক নেটিজেন বলেছেন, ‘আজ ট্রাম্পের সঙ্গে যখন হোয়াইট হাউসে ঘুরছিলেন, তখন নিজের মুখ থেকে চওড়া হাসিটা মুছতে পারেননি জো বাইডেন। এমনকী জিলকে দেখেও উদ্ভাসিত বলে মনে হচ্ছিল। উনি (বাইডেন) কাকে ভোট দিয়েছেন, সেটা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ আছে?’
এমনকী আমেরিকার ‘ফার্স্ট-লেডি’ জিলের পোশাকের রং নিয়ে হাসাহাসি করতে থাকেন অনেকে। একজনের আবার বক্তব্য, ভোটের দিন লাল পোশাক পরেছিলেন বাইডেন-পত্নী জিল। আর ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও লাল ঘেঁষা পোশাক করেন। ওই নেটিজেনের বক্তব্য, ‘এটা কি নেহাত কাকতলীয় ব্যাপার?’
নেটিজেনদের অপর এক অংশের বক্তব্য, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় জিল যে পোশাক পরেন, সেটার রং ঠিক লাল ছিল না। ওটা গোলাপি রং। আর তাছাড়াও প্রথা মেনে পূর্বসূরির সঙ্গে দেখা করায় বাইডেনকে কটাক্ষ করার ঘটনায় উষ্মাপ্রকাশও করেছেন।
২ ঘণ্টা বৈঠক হয় বাইডেন ও ট্রাম্পের
যদিও বাইডেন এবং ট্রাম্পের সাক্ষাতে এরকম কোনও উষ্মার ব্যাপার ছিল না। বর্তমান এবং উত্তরসূরি সাক্ষাতের পরে হোয়াইট হাউসের তরফে কারিন জিন-পিয়েরে জানিয়েছেন যে দু'ঘণ্টার মতো বৈঠক হয়েছে। তাঁর কথায়, 'ওঁরা জাতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় উঠে এসেছে বিভিন্ন ঘরোয়া নীতির বিষয়, যেগুলির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিশ্বকে। নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।'
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাইডেন এবং ট্রাম্পের বৈঠকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাইডেন দাবি করেছেন, ইউক্রেনকে যে সমর্থন করা হচ্ছে, তা আমেরিকার অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য ভালো। আর ইউরোপ স্থিতিশীল হলে আমেরিকাকে যুদ্ধে টেনে আনা হবে না। ট্রাম্প আবার প্রতিজ্ঞা করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানবেন। তবে কীভাবে সেই কাজটা করবেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি। যিনি বুধবারের সাক্ষাতের পরে বলেছেন যে ‘দুজনকে দুজনের বিষয়ে জানতে পারলাম।’