প্রক্সি দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনসে ৯৯.৮ পার্সেন্টাইল পেয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না অসমের নীল নক্ষত্র দাসের। সে, তার বাবা ও পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির তিনজনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। এরকম অসাধু উপায় অবলম্বন করে কিভাবে পরীক্ষা দিয়ে গেল নীল নক্ষত্র, সেই নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত প্রার্থীর বাবা জৌতির্ময় দাস গুয়াহাটির একটি বড় হাসপাতালের ডাক্তার। তার স্ত্রীও পেশায় চিকিৎসক। গুয়াহাটির একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারকে ১৫-২০ লক্ষ টাকা দিয়ে এই অন্যায় কাজটি করানো হয়, বলে অভিযোগ।
বাবা-ছেলে জুড়ি ছাড়াও পরীক্ষা যেই এজেন্সির মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছিল সেখানকার তিন কর্মী হিরুলাল পাঠক, প্রাঞ্জল কালিতা ও হেমেন্দ্র শর্মাকেও বুধবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এমপি গুপ্ত জানান যে পাঁচজনকে তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তথ্যের আদানপ্রদানের জন্য।
গুয়াহাটির আজারা থানায় মিত্র দেব শর্মা নামে এক ব্যক্তি এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, একজন JEE মেন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় ৯৯.৮% নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু তিনি আদপে ৫ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষায় বসেননি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তদন্তকারী দল গঠিত করা হয় বলে জানান গুয়াহাটির অতিরিক্ত DCP ( পশ্চিম) সুপ্রতিভ লাল বড়ুয়া। অভিযোগ, যে নীল নক্ষত্রের সিট পড়েছিল গুয়াহাটির বোরঝাড় কেন্দ্রে। কিন্তু বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্সের পর পরীক্ষকদের সহায়তায় সে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যায়। অন্য একজন তার জায়গায় পরীক্ষা দেয়।
বড়ুয়া বলেন, প্রার্থী একটি ফোন কলে বিষয়টি স্বীকার করে এবং সেটি রেকর্ড করা হয়। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এখনও পর্যন্ত এরকম আর কোনও ঘটনার কথা জানতে পারেনি পুলিশ।