বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনীর যে স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস আছে সেই ইতিহাসের ধারাবাহিকতা অনুসারে শুরু হল, ভারত বাংলাদেশের যৌথ সামরিক মহড়া।এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সম্প্রীতি’। এই সামরিক অভ্যাসের মূল উদ্দেশ্য হল সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সহযোগিতার সম্পর্ক আছে তা মজবুত করা।
এই যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে গত রবিবার ৫ জুন, চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত। ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে নিজেদের যুদ্ধকৌশল ঝালিয়ে নেবে দু’দেশের সেনাবাহিনী।‘এক্সারসাইজ সম্প্রীতি’-র এই পর্বে অংশ নিতে ১৭০ সদস্যের একটি ভারতীয় কন্টিনজেন্ট গত শনিবার (৪ জুন) যশোর পৌঁছয়।
এই মহড়ায় দুই দেশের সেনাবাহিনী যৌথভাবে শহর ও গ্রামাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমনের কৌশল অভ্যাস করবে।সেইসঙ্গে, এই প্রদর্শনীতে উদ্ধারকার্য, মানবিক সহায়তা প্রদান পরিকল্পনা ও তার সফল বাস্তবায়ন এবং এলাকা অনুযায়ী জরুরিকালীন ত্রাণ সরবরাহের মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি সরকার ‘নেইবার ফার্স্ট’ ও ‘লুক ইস্ট’ নীতির সফল বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগীতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।কেবল বাংলাদেশ নয়, দক্ষিন এশিয়ায় চিনের প্রভাব কমাতে মায়ানমার, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও সহযোগীতা বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লি। বর্তমানে বাংলাদেশে ও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। এর সুফলও পেয়েছে ভারত। অসম-সহ দেশের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে অনেক কমেছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। কারণ বাংলাদেশের মাটিকে ভারত বিরোধী সংগঠনগুলিকে ব্যবহার করতে দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।