পেগাসাস ইস্যুতে সংঘবদ্ধ বিরোধীরা। এদিন পেগাসাস নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিরোধী সাংসদরা। সেই সময় তৃণমূলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে গেলে তাঁদের ৬ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। এরপরই রাজ্যসভার বিরোধী দলগুলির নেতারা সম্মিলিত ভাবে একটি বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন। চিঠিতে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন সহ ১৮ জন বিরোধী সাংসদ সই করেন এই চিঠি।
চিঠিতে লেখা হয়, 'বিরোধী দলগুলি পেগাসাসের বিষয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় আলোচনার বিষয়ে অনড়। তাছাড় কৃষকদের ইস্যু নিয়েও আলোচনা চায় বিরোধীরা। সংসদ অচল রাখার বিষয়টি বিরোধীদের ঘাড়ে চাপানোর অপপ্রচার চালাচ্ছে সরকার পক্ষ। এই অচলাবস্থা কাটানোর দায় আদতে কেন্দ্রের। কিন্তু বিরোধীদের দাবি মানছে না কেন্দ্র।'
এদিকে এর আগে গতকাল বিরোধী দলের প্রাতরাশ বৈঠক ডেকেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যরা। এর আগে গতসপ্তাহেও রাহুলের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। তবে পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধী ঐক্যের কথা প্রথম থেকে বলে এসেছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। সেই আবহে এদিন বিরোধীদের বিক্ষোভ চলাকালীন ঝড় তোলেন তৃণমূল সাংসদরা। এর জেরে সাসপেন্ড হন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, মৌসম নূর, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষ। তাঁদের এই শাস্তির মেয়াদ শেষ আজই। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরু হলে সাসপেন্ডেড সাংসদরা কক্ষে আসতে পারবেন।