সরকারই সংসদের বাদল অধিবেশন বেলাইন করে দিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলদায়ক নয়। যৌয বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিলেন বিরোধীরা। কিন্তু সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর নেই তৃণমূলের ও আপের। এনিয়ে বিজেপি বিরোধী ঐক্য কতটা সম্ভব তা নিয়ে নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি জাতীয় ও জনস্বার্থের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে বার বারই বলা হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি তার মধ্যে পেগাসাস কেলেঙ্কারি রয়েছে, কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে কৃষক আন্দোলন রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমাবনতির বিষয়টিও রয়েছে। কিন্তু সরকার যেন বিরোধীদের আলোচনার দাবির সামনে একেবারে পাথরের দেওয়াল তুলে রেখেছে। এটা খুব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এই সরকার সংসদীয় দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন নয়। এই সরকার পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চায় না। বিরোধীরা বার বার নানা দাবি তুলছে, কিন্তু সরকার তার অবস্থানে অনড়। একটি বিতর্কও করতে দিচ্ছে না এই সরকার। দাবি বিরোধীদের।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে যা খুশি করছে সরকার। অথচ সংসদের এই অবস্থার জন্য বিরোধীদের উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। রাজ্যসভায় যা হয়েছে তা অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। বিরোধীদের কোনও প্ররোচনা ছাড়াই বহিরাগত যারা সংসদের নিরাপত্তার অংশ নন তারা মহিলা সাংসদ সহ বিরোধীদের হেনস্থা করেছেন। যৌথ বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এদিকে ডিএমকে, কংগ্রেস, সিপিআইএম, আরএসপি, সিপিআই, এনসিপি, এসপি সহ বিরোধীদের অনেকেই এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আপ ও তৃণমূল সাংসদের সই নেই এই বিবৃতিতে।